বিমানে চড়লেন না, অথচ কাটতে হল বিমানের টিকিট। সৌজন্যে হারিয়ে যাওয়া মালপত্তর। আজ্ঞে হ্যাঁ। বিমানবন্দরে হারানো লাগেজ খুঁজতে নতুন করে বিমানের টিকিট কাটতে বাধ্য হলেন এক ব্যক্তি। কী হল তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
আকাশে ওড়া প্লেন দেখে যতই স্বপ্নের মতো মনে হোক না কেন, বিমানযাত্রা নিয়ে মাঝেমধ্যেই রকমারি সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। কখনও বিমানের যন্ত্রপাতির সমস্যা তো কখনও ওঠানামায় দেরি। কখনও আবার বিমানবন্দরে মালপত্তর হারিয়ে যাওয়া, আর তা উদ্ধার করতে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার জোগাড়। সম্প্রতি তেমন ঘটনাই ঘটল আয়ারল্যান্ডের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
আরও শুনুন: স্বাধীনতা দিবসের উপহার, ফের দেশে ফিরতে চলেছে বিলুপ্ত হওয়া চিতা
পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবর্নে ঘুরতে গিয়েছিলেন ডারমট লেনন নামে ওই ব্যক্তি। ডাবলিন বিমানবন্দর থেকে ২৭ জুন উড়ান ধরেন তিনি। তবে বিমানবন্দরের গাফিলতির জেরে নিজের সমস্ত ব্যাগপত্তর ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা হতে হয়েছিল ডারমটকে।
অস্ট্রেলিয়ায় ছুটি কাটিয়ে ফিরে ডাবলিন বিমানবন্দরে ফের নিজের লাগেজের খোঁজ করেন তিনি। তবে সারাদিনের ছুটোছুটি বিফলে যায় পুরোটাই। সেদিনও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল ডারমটকে। অভিযোগ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সংরক্ষিত জায়গায় সকলকে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না। এদিকে লাগেজ পাওয়ার জন্য হুলুস্থুলু পড়ে গিয়েছিল বিমানবন্দর জুড়ে। অল্প কয়েকজন সেখানে পৌঁছলেও সেই তালিকায় নাম ছিল না ডারমটের। পরে আরও বেশ কয়েকবার বিমানবন্দরে হত্যে দিয়েছেন। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আরও শুনুন: এক ঘণ্টা আলিঙ্গনের দাম ৭০০০ টাকা, অভিনব ব্যবসা খুলে তাক লাগালেন ব্যক্তি
শেষমেশ তিতিবিরক্ত হয়ে অন্য পন্থা খুঁজে বের করেন ডারমট। লাগেজ উদ্ধারের জন্য তিনি কেটে ফেলেন বিমানের একটা গোটা টিকিটই। সবচেয়ে কম দামের টিকিট কাটা সত্ত্বেও তাঁর খরচ হয়েছে ১৮ ইউরোর কাছাকাছি। ডাবলিন থেকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো পর্যন্ত একটি টিকিট কেটেছিলেন তিনি।
না, স্কটল্যান্ড তিনি যাননি। তবে ওই টিকিটের মাধ্যমে পৌঁছেছিলেন লাগেজের কাছাকাছি। অবশেষে গুচ্ছখানের ব্যাগের মধ্যে থেকে নিজের ব্যাগটি উদ্ধার করতে সফল হয়েছেন ডারমট।
ডাবলিন বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে অবশ্য গোটা দায়টাই চাপানো হয়েছে বিমানসংস্থার ঘাড়ে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও উড়ানসংস্থার লাগেজরই দায়িত্ব নেয় না বিমানবন্দর। গোটা কাজটাই সামলায় উড়ানসংস্থা ও তাদের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থাগুলি। ফলে লাগেজ এদিক-ওদিক হওয়ার গোটা দায়টাই তাদের বলেই দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে সামান্য লাগেজ পেতে যে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে ডারমটকে, তা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে নেটনাগরিকেরা।