স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন স্ত্রী। তবে নিজেদের মধ্যে বনিবনার অভাবে নয়, বরং সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুযোগ পেতেই নাকি এহেন সিদ্ধান্ত তাঁর। কী ঘটেছে ঠিক? শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ে মানেই সাতজন্মের বন্ধন, এ কথা এখন আর বলা চলে না। দু’পক্ষের মধ্যে যদি যথাযথভাবে মিলমিশ না হয়, কিংবা বোঝাপড়ার অভাব থাকে, অনেকেই স্রেফ যেনতেন প্রকারেণ বিয়ে টিকিয়ে রাখতে চান না। বরং দুজনেরই ভালো থাকার অধিকারকে মান্যতা দিয়ে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এ কথাও সত্যি, যে, বিচ্ছেদের পিছনে অনেকসময় থাকে অন্য কোনও কারণও। তবে সম্প্রতি রাজস্থানের এক যুবক যে কারণটির কথা বলেছেন, তা অভিনবই বটে। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী বিচ্ছেদ চাইছেন, যাতে ডিভোর্স কোটার সুযোগ নিয়ে সহজেই ইউপিএসসি-তে উত্তীর্ণ হতে পারেন তিনি। তাঁর আরও বক্তব্য, এখন নয়, বিয়ের আগেই বস্তুত এই ব্যাপারে ছক কষে রেখেছিলেন ওই তরুণী।
আরও শুনুন:
যে রাঁধে সে রাজনীতিও করে! ভোটের হাওয়ায় পলিটিক্সের হেঁশেলনামা
জানা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে প্রথমবার দেখা হয়েছিল দুজনের। তরুণীও রাজস্থানের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা। এদিকে ওই যুবক পেশায় ফটোগ্রাফার। দুজনে ক্রমে সম্পর্কে জড়ান। ২০১৬ নাগাদ চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে জয়পুরে চলে আসেন তরুণী। দুজনে কিছুদিন একত্রবাসেও ছিলেন তাঁরা। এরপর ২০২১-এ বাগদান সারেন, আর ২০২৩-এ বিয়ে। এর মাঝেই অবশ্য ওই তরুণী একটি সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। তারপর বিয়ের ব্যাপারে তাঁর খানিক অনীহাই দেখা গিয়েছিল বলে দাবি যুবকের। তিনি এই শর্তেই বিয়েতে রাজি হন যে, স্বামী তাঁকে ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবেন। তবে বিয়ের দিনকয়েক পরেই তিনি বিচ্ছেদ চেয়ে বসেন। আর যুবক তাতে রাজি না হলে তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকেই যুবকের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করতে, বা কোনোরকম যোগাযোগ রাখতেই তিনি নারাজ।
আরও শুনুন:
পুরুষ নাকি বন্যজন্তু! গভীর জঙ্গলে কে বেশি নিরাপদ? মহিলারা বললেন, ভাল্লুকই সই…
সম্প্রতি স্ত্রীর নামে অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবক। অন্যদিকে স্ত্রীর বক্তব্য, আসলে পণের দাবিতে হেনস্তা করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এসবের মধ্যে আসল কথাটি হল, যুবকের অভিযোগের বস্তুত কোনও ভিত্তিই নেই। কারণ ইউপিএসসি-তে বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলাদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। সেখানে জাতিগত সংরক্ষণ রয়েছে, রয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণি বা বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য সংরক্ষণও, তবে ডিভোর্স কোটা বলে কিছু আদৌ নেই। সুতরাং যুবকের দাবি শুনতে যতই অভিনব লাগুক না কেন, আসলে এই বিচ্ছেদের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলেই অনুমান করা চলে।