গৃহহিংসা আইনের আওতায় পড়েন না কোনও স্বামী অথবা পরিবারের অন্য কোনও পুরুষ সদস্য। এক মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই সাফ জানাল দিল্লি হাই কোর্ট। ঠিক কী জানিয়েছে আদালত? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
২০০৫ সালে যে গৃহহিংসা আইন পাশ হয়েছিল, সেই সাম্প্রতিক আইন কোনও পুরুষকে সুরক্ষা দেয় না। সে তিনি স্বামী হন বা পরিবারের অন্য কোনও পুরুষ সদস্য, এই আইন মোতাবেক রক্ষাকবচ চাইতে পারবেন না তিনি। একটি মামলার প্রেক্ষিতে সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
ঠিক কী জানিয়েছে আদালত?
আরও শুনুন: ধর্মীয় মেলায় ব্যবসা নয় মুসলিমদের, বয়কটের দাবিতে কর্ণাটকে সরব হিন্দুত্ববাদীরা
সম্প্রতি এক মামলায় দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। আসলে তাঁর স্বামীর দায়ের করা একটি মামলার পালটা দিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আর সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি জসমিত সিং। জানা যায়, ওই মহিলার স্বামী ২০০৫ সালের গৃহহিংসা আইনের ১২ নম্বর ধারার ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এই আইনটি আদতে কেবলমাত্র নিপীড়িত মহিলাদের জন্যই তৈরি হয়েছে। ২০০৫ সালে পাশ হওয়া এই আইনটির সম্পূর্ণ নাম ‘প্রোটেকশন অফ উইমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট’। বলাই বাহুল্য, গৃহহিংসার জেরে যেসব মহিলা অত্যাচারিত হন, তাঁদের পরিস্থিতি এবং সুযোগসুবিধার দিকগুলি স্পষ্ট করার জন্যই এই আইনের প্রস্তাবনা। এখানে স্পষ্টই বলা হয়েছে, এই আইনে কোনও মামলা দায়ের করা হলে বাদী পক্ষ হবেন একজন মহিলা, যিনি বিবাদী পক্ষের সঙ্গে কোনও গার্হস্থ্য সম্পর্কে ছিলেন এবং গৃহহিংসার ভুক্তভোগী। পাশাপাশি, ভারতের পেনাল কোডের ৪৯৮এ ধারা অনুযায়ীও বলা হয়েছে, এর আওতায় বাদী পক্ষ অর্থাৎ অত্যাচারিত হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারবেন কোনও মহিলাই। উলটো দিকে অত্যাচারী কিন্তু পুরুষ বা মহিলা যে কেউই হতে পারেন।
আরও শুনুন: একুশে আইন! প্রকাশ্যে নাচ ‘বেশ্যাবৃত্তি’র শামিল, ১০ বছরের জেলের সাজা যুগলের
এই ইস্যুতেই সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কোনও পুরুষ যে গৃহহিংসা আইনের আওতায় তাঁর সঙ্গিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন না, সেই দাবি তুলেই পালটা মামলা করেন তিনি। আর মামলার রায়ে এই দাবিতেই শিলমোহর দিয়েছে দিল্লি আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ।