মাঝরাতে খিদের চোটে ঘুম ভেঙেছে। এদিকে বাড়িতে চটজলদি বানিয়ে খাওয়ার মতো কিছুই নেই। আবার এত রাতে বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টও বন্ধ। অন্য কোথাও এমন সমস্যায় কেউ পড়লে অবশ্যই চিন্তার বিষয়, কিন্তু আপনি যদি লখনউ-এর বাসিন্দা হন, তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। সারারাত ধরে আপনার জন্য একটা দোকান খোলা থাকবেই। যেখানে হাসিমুখে ম্যাগি বিক্রি করতে দেখা যাবে এক মহিলাকে। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
ব্যবসা তো অনেকেই করেন। কিন্তু সফল হন নির্দিষ্ট কয়েকজনই। নেপথ্যে থাকে ব্যবসায়িক বুদ্ধি কিংবা নতুন কোনও কৌশল। ঠিক যেমন এই মহিলা। রাস্তার ধারে ম্যাগি বিক্রি করাই তাঁর পেশা। কিন্তু তাতেই রীতিমতো সফল হয়েছেন তিনি। কারণ এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বেশ অভিনব এক কৌশল বের করেছেন তিনি। আর তাতেই এসেছে সাফল্য।
আরও শুনুন: ছকভাঙা পথেই সাফল্য, বাইকে চড়ে ‘স্বাস্থ্যকর’ ফুচকা বিক্রি বি.টেক পাশ তরুণীর
ভাবছেন তো, স্রেফ ম্যাগি বিক্রি করার আবার কী এমন কৌশল থাকতে পারে! না, ম্যাগি তৈরি করার হয়তো আলাদা কোনও কৌশল নেই। তবে দোকান খোলার সময়টা খানিক অদলবদল করেছেন তিনি। আর তাতেই বদলেছে ব্যবসার সমীকরণ। আসলে, তিনি দোকান খোলেন রাত ১১টার পর। তারপর সারারাত ধরে চলে বিক্রিবাটা। মাঝরাতে খিদে পেলে নির্ভাবনায় তাঁর দোকানে হাজির হওয়া যায়। সে রাত যতই হোক না কেন। এই কারণে অনেকেই তাঁকে ‘রাত তিনটের ম্যাগিওয়ালি’ নামেও ডাকেন। লখনউ-এর বাসিন্দা এই মহিলা তাঁর ব্যবসার ক্ষেত্রে এই অভিনব বুদ্ধিটাই খাটিয়েছেন। সারাদিন তো সব দোকানই খোলা থাকে। সেক্ষেত্রে একই খাবারের দুটো দোকান থাকলে যে কোনও একটা দোকান মাছি তাড়াবেই! কিন্তু রাতের বেলা সেসবের বালাই নেই। আশেপাশের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। তাই খিদে পেলে এই ‘ম্যাগিওয়ালি’-ই ভরসা।
আরও শুনুন: খিদে পেয়েছিল! জাদুঘরে গিয়ে ১ কোটি টাকার শিল্পবস্তু খেয়ে ফেললেন পড়ুয়া
সম্প্রতি এই ‘ম্যাগিওয়ালির’ ভিডিও বানিয়ে নেটদুনিয়ায় প্রকাশ করেছেন জনৈক ফুডব্লগার। যা দেখার পর অনেকেই বেশ অবাক হয়েছেন। বিশেষত একজন মহিলা হয়েও উনি সারারাত দোকান খোলা রেখেছেন! এই ব্যাপারটা অনেকের কাছেই নতুন মনে হয়েছে। কমেন্টে মহিলাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকে। তবে লখনউ-এর বাসিন্দাদের কাছে তিনি এমনিই জনপ্রিয়। একে তো ম্যাগির মতো চটজলদি খাবারের দোকান। তার ওপর এই মহিলা নাকি খুব যত্ন নিয়ে সকলকে পরিবেশন করেন। যত রাতই হোক না কেন, তাঁর মুখের হাসিটা সবসময় লেগে থাকে। আর এতেই রমরমিয়ে চলছে তাঁর ব্যবসা।