কথায় বলে, টাকা মাটি মাটি টাকা। আর সত্যিই, মাটি খুঁড়েই কিনা পাওয়া গেল ৬০ লক্ষ টাকার স্বর্ণমুদ্রা। কোথায় মিলল এমন গুপ্তধনের সন্ধান? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
গুপ্তধনের গল্প তো কতই শোনা যায়। কিন্তু গল্পে নয়, সত্যি সত্যিই বাস্তবে গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন একদল শ্রমিক। মাটি খুঁড়তে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার স্বর্ণমুদ্রা হাতে এল তাঁদের। কিন্তু বাস্তব যেহেতু গল্প নয়, তাই সেই গুপ্তধন নিয়ে রাজা সাজা আর হল না তাঁদের। উলটে গুপ্তধন লোপাটের চেষ্টা করার দরুন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সোজা শ্রীঘরে যেতে হল সকলকেই।
ভাবছেন, কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: খাবারের বদলে প্যাকেটে মিলল ন্যাপকিন, নামী সংস্থার কাণ্ডে রেগে আগুন ব্যক্তি
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায়। স্থানীয় এক ভগ্নস্তূপে মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন আটজন শ্রমিক। মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎই তাঁরা দেখতে পান, সেখানে রয়েছে একরাশ স্বর্ণমুদ্রা। আকস্মিক এই আবিষ্কারের পর আরও উৎসাহে মাটি খুঁড়তে শুরু করেন ওই শ্রমিকেরা। উদ্ধার হয় সব স্বর্ণমুদ্রাই। দেখা যায় মোট ৮৬ খানা স্বর্ণমুদ্রা রয়েছে ওই স্থানে। বহুমূল্য এই গুপ্তধন নিজেদের মধ্যেই ভাগ করে নেন ওই শ্রমিকেরা। আর হঠাৎ পাওয়া এই গুপ্তধনের কথা কাউকে না জানিয়েই চম্পট দেন তাঁরা।
আরও শুনুন: বাতাসা কিংবা নকুলদানা নয়, এই মন্দিরে দেবতা তুষ্ট হন সুরা প্রসাদেই
এদিকে বর্তমান সোনার দাম অনুযায়ী ওই মুদ্রাগুলির মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। কিন্তু মাটির নীচে দীর্ঘদিন চাপা পড়ে থাকা এই মুদ্রাগুলির প্রাচীনত্বের দাম আরও অনেক বেশি। এগুলির রীতিমতো পুরাতাত্ত্বিক মূল্য রয়েছে। যদিও এখনও এই মুদ্রাগুলি ঠিক কত পুরোনো তার হিসেব পাওয়া যায়নি। তবে এর আগেও গুজরাটের এক গ্রাম থেকে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ২১৬টি স্বর্ণমুদ্রা। ৪০০ বছরের পুরনো সেই মুদ্রাগুলির দাম নির্ধারিত হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। সুতরাং এই মুদ্রার কথা জানাজানি হতেই ওই শ্রমিকদের খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ। ইতিহাসের নিদর্শন নিয়ে পালানোর অভিযোগে সেই আটজন শ্রমিককে গ্রেপ্তারও করা হয়। আনন্দের কথা হল, মুদ্রাগুলি কোনোভাবে বিকৃত করার আগেই তাঁদের কাছ থেকে ৮৬টি মুদ্রাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঐতিহাসিক মূল্যের নিরিখে মুদ্রাগুলির দাম কয়েক কোটিতেও গিয়ে ঠেকতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।