কুম্ভস্নানে ধুয়ে যাবে পাপ। এই আশায় প্রয়াগে হাজির হয়েছিলেন যুবক। তবে স্নান তিনি একা সারেননি। ডুবিয়েছেন সাধের মোবাইলটিকেও। দাবি, এই যন্ত্রও সমানভাবে তাঁর সমস্ত পাপের ভাগীদার। যুবকের কাণ্ড দেখে কী প্রতিক্রিয়া নেটদুনিয়ার? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
১৪৪ বছর পর বসেছে মহাকুম্ভের আসর। সেই উপলক্ষ্যে কয়েক কোটি ভক্ত ভিড় জমিয়েছেন প্রয়াগ সঙ্গম চত্বরে। উদ্দেশ্য পুণ্যস্নান। দলে দলে সেই কাজই করছেন সবাই। কেউ প্রিয়জন, কেউ পরিবার, কেউ আবার একাই স্নান সারছেন কুম্ভে। এই ভিড়ে সকলের নজর কেড়েছেন এক যুবক। যার স্নানের সঙ্গী, একটি মোবাইল ফোন।
:আরও শুনুন: ভিড় সামলানো অসম্ভব! কুম্ভের আবহে বন্ধ বেনারসের গঙ্গারতি, খুলবে না শহরের একাধিক স্কুলও
ফোন ছাড়া দিন চলে না, এমন অবস্থা প্রায় সকলেরই। ঘুম চোখা খোলা থেকে মাঝরাতের রিলস, সবকিছুর সাক্ষী ওই ফোন। তাহলে সারাদিনের যা পাপ-পুণ্যের হিসাব, সেখানেও সমান ভাগ দিতেই হয় তাকে। এই ভাবনাতেই কুম্ভের গঙ্গায় সাধের ফোনটাকেও স্নান করিয়েছেন যুবক। তাঁর সেই কাণ্ডের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। দেখা গিয়েছে, অন্যান্য অনেকের মতো একহাতে মোবাইল নিয়ে ওই যুবক কোমর সমান জলে দাঁড়িয়ে। দেখে মনে হবে, স্নানের মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দী করতেই ফোন নিয়ে জলে নেমেছেন তিনি। কারণ, একইভাবে আরও অনেকে কুম্ভস্নানের ভিডিও করছেন অহরহ। তবে ইনি তেমনটা করেননি। বরং স্রেফ মোবাইলটাকে প্রথমে জলে ডুবিয়েছেন। একেবারে নিয়ম মেনে যেভাবে ডুব দিতে হয়, ঠিক সেইভাবে। তারপর নিজে ডুব দিয়েছেন। অর্থাৎ, ভিডিও করতে বা ছবি তুলতে নয় মোবাইলটাকে স্নান করাতেই এমনটা করেছেন তিনি।
:আরও শুনুন: শাহী স্নানে নয়, মাঘ অষ্টমীতে কুম্ভস্নান মোদির! কী মাহাত্ম্য এই বিশেষ তিথির?
স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও নিয়ে নেটদুনিয়ায় শোরগোল শুরু হয়েছে। সকলেই প্রায় একযোগে দাবি করেছেন, ওই যুবক এক্কেবারে ঠিক কাজ করেছেন। আসলে, আমরা প্রতিদিন যা কিছু করি তার সবই যে ভালো কাজ এমন নয়। শাস্ত্রের ভাষায় বললে, পাপ কাজও থাকে তার মধ্যে। তবে সেই পাপের সমান ভাগীদার মোবাইলই। কারণ যা কিছুই করা হোক, তাতে সঙ্গী হিসেবে ওই যন্ত্রটি থাকেই। সুতরাং কুম্ভস্নান যদি এত এত ভক্তের পাপ ধুয়ে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে মোবাইল বাদ থাকে কেন! কেউ কেউ দাবি তুলেছেন, অন্যদেরও এমনটা করা উচিৎ। তাতে খুব একটা সায় জানায়নি অনেকেই। কারণ মোবাইল ছাড়া পাপ-পুণ্য, কিছুই করা সম্ভব নয়। সেখানে জল ঢুকে সমস্যা হলে বেজায় মুশকিল। তাই তাকে স্নান না করালেও চলে। কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, ওই যুবক নেহাতই ভাইরাল হওয়ার লোভে এমনটা করেছেন। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে নেটদুনিয়া।