প্রখর সূর্যের তাপ, আর তাতেই গলে যাচ্ছে একটা গোটা বাড়ি। এমনটা কি সত্যি হতে পারে? গল্প নাকি সত্যি! শুনে নিন।
আস্ত বাড়ি গলে যাচ্ছে! তাও আবার সম্ভব নাকি? ভাবছেন তো, এ নিশ্চয়ই সত্যি সত্যি বাড়ি নয়। কেননা গলে যায় এমন জিনিস দিয়ে কেউ আবার বাড়ি বানায় নাকি। হ্যাঁ, পরীক্ষা নিরীক্ষার খাতিরে কেউ যদি মোম দিয়ে বাড়ি বানান তবে সূর্যের তাপে গলে তো যাবেই। কিন্তু এখানেই আর একখানা তথ্য দিয়ে দেওয়া যায়। যে, বাড়িটা কিন্তু মোমের তৈরি নয়। এইবার অবাক হচ্ছেন তো! আপনার আমার মতো প্যারিসের মানুষরাও যারপরনাই অবাক হয়েছিলেন। রাস্তা চলতে চলতে হঠাৎ কেউ কেউ খেয়াল করলেন, আস্ত বাড়ি গলে পড়ছে ।
আরও পড়ুন – গুপ্তচর যখন বাঙালি বধূ, আজও বিস্ময় জাগান Savitri Devi
একজন দুজন করে, দেখলেন অনেকেই। যত দেখেন তত বিস্ময় কাটে না। সবাই চোখ বড় বড় করে দেখছে সূর্যের তাপে গলে যাচ্ছে বাড়িটির দরজা জানলা। অনেকেই ভাবছেন হয়তো চেখের ভুল। কেউ ভাবছেন পর্দায় অ্যানিমেশন দেখছেন। দেখতে তো আসল বাড়িই মনে হচ্ছে দেয়াল, দরজা জানলা সবই আছে, তবে কেমন যেন অদ্ভুত চেহারার। একটু একটু করে বাড়িটা গলছে আর কেমন এক আকার নিচ্ছে।
আরও পড়ুন – ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রের অতলে ঘুমিয়ে হিন্দু দেবদেবীর প্রাচীন মূর্তি! ব্যাপারটা কী?
বাড়িটা নিয়ে শুরু হয়ে গেল হইচই। না হলেই বরং আশ্চর্য হতে হত। এমন গলে-যাওয়া বাড়ির কথা তো কেউ কখনও শোনেনি। ফ্রান্সের গণ্ডি পেরিয়ে সে বাড়ির কথা ছড়িয়ে পড়ল সারা বিশ্বে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর যে পায়, সেইই অবাক হয়ে যায়। ক্রমে কৌতূহল দানা বাঁধে। রহস্যটা কী! কোন মন্ত্রে গলে যাচ্ছে আস্ত একটা অট্টালিকা!
খুঁজতে খুঁজতে উঠে এল একজনের নাম । তিনি পিয়ের দেলাভি। জানা গেল, এই গলে যাওয়া বাড়ি নাকি তাঁরই কীর্তি। তা এমন বাড়ি তিনি বানালেন কেন? যা নাকি গলেই যাচ্ছ! এ তো কীর্তির থেকে অপকীর্তি হল বেশি। কিন্তু এখানেই এল কাহানি মে টুইস্ট। বলা হয়, একজন শিল্পীই পারেন অগণিত মানুষকে বিস্ময়ে আবিষ্ট করতে। দেলভিও আসলে তাই করেছেন।
বাকিটা শুনে নিন প্লে বাটন ক্লিক করে।