সবজির দাম বাড়লে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠে। সেখানে কোনও সবজির দাম যদি কেজি প্রতি ৮৫ হাজার টাকা হয়, তবে তো মাথায় হাত! তবে বাজারচলতি কোনও সবজি নয়, একটি বিশেষ সবজির জন্যই এই দাম প্রযোজ্য। বলা হয়, বিশ্বের সবথেকে দামি সবজি নাকি এটাই। কী সেটি? আসুন শুনে নিই,
মাশরুম বা কেশরের চড়া দামের কথা আমরা সকলেই জানি। এমনকী বাঙালি অতিপ্রিয় পোস্তর দামও আকাশছোঁয়া। কিন্তু কোনও সবজির কেজি যদি ৮৫ হাজার টাকা হয়, তবে হতবাক হতে হয় বইকি। এ সবজি অবশ্য দৈনন্দিনে ব্যবহার হয়, এমনটা নয়। জিনিসিটা যেমন দামি, তেমন বিরলও। ‘হপ শুটস’ (Hop shoots) নামে এই সবজিই পেয়েছে বিশ্বের সবথেকে দামি সবজির তকমা।
আরও শুনুন: কোথায় ভূত! কে বলে শুভ কাজ হয় না! শ্মশানে জন্মদিন পালন করে বার্তা ব্যক্তির
ইউরোপের দেশগুলিতেই এ সবজির দেখা মেলে। আকারে ছোটখাটো। তবে ভারতীয় মুদ্রায় তার এত দাম যে, সেই টাকায় দিব্যি সোনা কেনা যায়। কিন্তু কীসের জন্য এই সবজির এমন আকাশছোঁয়া দাম? প্রধানত দুটি কারণে, এই সবজি হয়ে উঠেছে মহার্ঘ্য। প্রথমত, এই সবজির চাষ করা সহজ নয়। অন্যান্য সবজির মতো বহুল হারে এর চাষ হয় না। অনেক সময় ও যত্ন নিয়ে এই গাছকে বড় করে তুলতে হয়। সব মিলিয়ে প্রতি তিন বছরে এর ফলন আশা করা যায়। তার আগে গাছকে বড় করে তোলা ও ফলনশীল করে তুলতে বিস্তর কাঠখড় পোড়তাএ হয়। চাষ করা কষ্টসাধ্য বলে, সবজির দামও চড়তে থাকে। দ্বিতীয়ত, এই সবজির ভেষজ গুণ চমকপ্রদ। বলতে গেলে, এই গাছের প্রত্যেকটি অংশই ব্যবহার করা যায়। গাছের ফুল কাজে লাগে বিয়ার তৈরিতে। এ ছাড়া স্যালাডের সঙ্গেও এ গাছের অংশ ব্যবহার করা যায়। আর ওষুধ তৈরিতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। হজমের সমস্যা থেকে ত্বকের সমস্যা, অবসাদ দূর করার ওষুধ, ঘুমের সমস্যা দূর করার ওষুধ- এরকম বহু ওষুধ তৈরিতে এই গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করা হয়। এই কারণেই এই সবজির চাহিদাও বেশি। ফলন কম এবং চাহিদা বেশির কারণেই সবজির দামও চমকে দেওয়ার মতোই।
আরও শুনুন: লটারিতে স্বামী জিতেছেন ১.৩ কোটি, টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে চললেন স্ত্রী
ভারতে এর চাষ হয় না। তাই ভারতীয় মুদ্রায় এই সবজির দাম গিয়ে ঠেকেছে কেজি প্রতি প্রায় ৮৫ হাজার টাকায়। তবে শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই এই সবজি দামি। একে তো কম পাওয়া যায়, দ্বিতীয়ত বহুগুণের সমাহার এক গাছে। তাই বিশ্বের সবথেকে দামি সবজির অভিধা জুটেছে এই হোপ-শুটসেরই।