গোটা ঘর জুড়ে রয়েছে কেবল বিড়াল। উঁহু, জ্যান্ত নয় তারা। বিভিন্ন আকার আর বিভিন্ন ভঙ্গিমার বিড়ালের মূর্তি। আর তাই দিয়েই বাড়ি সাজিয়েছেন এই দম্পতি। আসুন শুনে নেওয়া যাক এই অভিনব ক্যাট মিউজিয়ামের কথা।
মার্কিন মুলুকের এক দম্পতির শখ বিড়ালের পুতুল জমানো। ইতিমধ্যেই তাঁদের ঘরে জমেছে প্রায় ১৩ হাজার পুতুল। বিগত ৪ বছর ধরে তাঁরা এভাবেই সংগ্রহ করে চলেছেন পুতুলগুলি। বিভিন্ন ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকারের এই পুতুলগুলিতে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির বিড়ালের রকমারি ভঙ্গি। কিন্তু তাতেও শখ মেটেনি ওই দম্পতির। নিরলস ভাবে নিজেদের এই আশ্চর্য শখে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: সহকর্মীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েই মৃত্যু ব্যক্তির, কবরে ‘লম্পট’ লিখে দিলেন স্ত্রী
কিন্তু এমন অদ্ভুত শখ কেন?
আসলে এই মার্কিন দম্পতির প্রধান উদ্দেশ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায় ঠাঁই করে নেওয়া। আর সেই উদ্দেশ্যেই নিজেদের বাড়িটিকে ‘ক্যাট মিউজিয়াম’ তথা বিড়ালের জাদুঘর বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা। আর তারপর শুরু হয় সেই সংগ্রহশালা ভরিয়ে তোলার কাজ। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৪০০০ বিড়ালের পুতুল বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের দাবি, সংখ্যায় এত বেশি হলেও কোনও দুটি পুতুল অবিকল একরকম নয়। বরং প্রতিটি পুতুলই আকারে এবং ভঙ্গিতে একে অপরের থেকে আলাদা। এক বছর কাটতে না কাটতেই ওই মিউজিয়ামের সংগ্রহের তালিকায় যুক্ত হয় আরও ৩০০০ পুতুল। এইভাবেই বর্তমানে ওই দম্পতির শখের সংগ্রহশালায় পুতুলের সংখ্যা এসে ঠেকেছে ১৩ হাজারে। যদিও ২১ হাজার বিড়ালের পুতুল জমিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বরেকর্ডের মালিকানা সংগ্রহে রেখেছেন অন্য এক ব্যক্তি। তবে তার জন্য হাল ছাড়ছেন না এই দম্পতি।
কেবল বিড়ালের পুতুল জমানোই নয়, এই শখের আরও একটি দিক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই দম্পতি। পুতুল বিড়ালের সংগ্রহশালার পাশাপাশি আরেক রকম সংগ্রহশালাও গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে তাঁদের। আর তা হল জ্যান্ত বিড়ালের। রাস্তা থেকে উদ্ধার করে আনা, বেওয়ারিশ বিড়ালদের জন্য ওইখানেই একটি শেল্টার গড়ার কথা ভেবেছেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই বাড়িতেই একটি অভিনব ক্যাফেও গড়ে তুলতে চান দম্পতি। যেখানে মানুষ আসবেন, এবং নিজেদের পছন্দমতো কোনও একটি বিড়াল সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন অর্থাৎ অ্যাডপ্ট করবেন।
আরও শুনুন: বিজেপিকে টক্কর দিতে হাতিয়ার গরুই, প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে হাজার হাজার গরু ছাড়া হল গুজরাটের রাস্তায়
বর্তমানে এই অভিনব মিউজিয়াম দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষই। তাঁদের দেওয়া অনুদান থেকেই চলতি বছরে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয়েছে ওই দম্পতির। যা দিয়ে হয়তো শখের বাকি অংশটাও এবার পূরণ করতে পারবেন তাঁরা।