বিয়েবাড়িতে একঘর লোক। কিন্তু একজনেরও গায়ে নেই জামাকাপড়। এমনটা আবার হয় নাকি! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বাস্তবেই এমন বিয়ের আয়োজন হয়। কোথায় জানেন? আসুন, শুনে নিই।
বর-কনে দুজনেই নগ্ন। ওইভাবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, অতিথিদের গায়েও একটা সুতো নেই। এমনিতে বিয়ের কথা বললেই মাথায় আসে ভারী গয়না আর দামী পোশাকে বাহারি সাজের কথা। সেখানে নগ্ন হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বর-কনে!
আরও শুনুন: ঘোড়ায় চড়ে বউ এল বিয়ে করতে! সিনেমা নয়, বাস্তবেই ঘটেছে এমন, কোথায় জানেন?
বিয়ে মানেই হৈ-হৈ, রৈ-রৈ ব্যাপার। পাড়াপড়শি আত্মীয়সজন সব মিলে বিয়েবাড়ি একেবারে জমজমাট। পিছিয়ে নেই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে খানাপিনারও দেদার আয়োজন। কিন্তু এই বিয়েবাড়ি খানিক আলাদা। বর-কনে থেকে শুরু করে নিমন্ত্রিত অতিথি, কারও পরনেই গা-ভর্তি গয়না, টোপর,মুকুট বা জমকালো সাজ এসব কিছুই নেই। উলটে পাত্র-পাত্রী, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি বিয়েতে উপস্থিত প্রতিটি ব্যক্তির শরীরই আপাদমস্তক উলঙ্গ। তবুও তাঁদের দেখে চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে না কেউ। করছেনা নিন্দা-মন্দ, ফিস-ফাস। কাটছে না টিপ্পনী। কারণ সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন আজ তাঁদের বিয়ে। কোনও গল্প নয়। একেবারে খাঁটি সত্যি কথা। বিলাসবহুল হোটেলে এমনই এক বিবাহের অনুষ্ঠান হয়। আরও মজার কথা কী জানেন? হাতে গোনা একটি বা দুটি নয়। প্রতি বছর ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ উপলক্ষে প্রায় গড়ে ১০ থেকে ১২ জোড়া যুবক-যুবতী এই আশ্চর্য প্রথায় বিয়ে সারেন।
কিন্তু কোথায়?
জামাইকার ‘রানওয়ে বে’ অঞ্চলের ‘হেডোনিজম থ্রি’ নামক বিলাসবহুল রিসোর্টে প্রতি বছর এই বিয়ের আসর বসে। উত্তর মার্কিনের ফ্লোরিডার ইউনিভার্সাল লাইফ চার্চের রেভারেন্ড, ফ্রাঙ্ক সার্ভাসিও নামে এক ব্যক্তি এই অদ্ভুত গণবিবাহের অনুষ্ঠানটির আমদানি করেছিলেন। তবে শুধু এমন বিয়ের আমদানি করেই ফ্রাঙ্ক থামেননি, বরং বেশ কয়েক বছর ধরেই এই বিয়ের পৌরহিত্যের সমস্ত দায়িত্ব একার ঘাড়ে পালন করে এসেছেন।
বিয়ে এবং বৈবাহিক জীবনের নানান ওঠাপড়া নিয়ে আমাদের উত্তেজনার শেষ নেই। আর তারই মধ্যে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া এই খবরটি কানে আসায় যে নতুন খোরাক জুটেছে তা বলাই যায়। তাতে অবশ্য জামাইকার কপোত-কপোতীর তেমন যায় আসেনি! ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’-তে অভিনব পদ্ধতিতে গাঁটছড়াটি বাঁধার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করতে তাঁরা রাজি।