পর্যটকরা দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন শপিং মলে। তবে কোনও দামি রেস্তোরাঁ, বা দোকানের জন্য নয়। প্রধান আকর্ষণ শপিং মলের পাবলিক টয়লেট। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। শৌচাগার দেখতেই দলে দলে হাজির হচ্ছেন সকলে। কী এমন বিশেষত্ব এখানকার টয়লেটের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মিশরের পিরামিড থেকে এ দেশের তাজমহল, বিশ্বজুড়ে দেখার জিনিস নেহাতই কম নেই। এসব ছেড়ে কেউ শৌচাগার দেখতে যাবেন কেন? বিশ্বাস না হলেও, এমনটাই হচ্ছে। চিনের এক শপিং মলে রোজই দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা, স্রেফ শৌচাগারের টানে।
:আরও শুনুন:
যোগ্যতা বা কর্মদক্ষতা দেখে নয়, রাশি মিলিয়ে ভাগ্য বিচার করেই চাকরি দিচ্ছে সংস্থা
মানুষের প্রয়োজনেই চলার পথে শৌচাগার থাকে। স্টেশন কিংবা শপিং মলেও শৌচাগার রাখার উদ্দেশ্য তাই। এর মধ্যে কিছু কিছু শৌচাগার সুন্দর করে সাজানো থাকে। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এমনটা করা হয়। কখনও শৌচাগারের দেওয়াল জুড়ে নানা কারুকাজ, কখনও আবার শৌচাগারের সামনে গাছেদের মেলা। যদিও সাজানোর থেকে বড় কথা, শৌচাগারটি কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে। দেখতে যেমনই হোক, পরিষ্কার শৌচাগার হলেই সকলের সুবিধা। তবে চিনের এই শৌচাগার স্রেফ পরিষ্কারই নয়, অতি আধুনিকও বটে। আর সেই কারণেই শৌচাগার দেখতে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। কথা বলছি নানজিং অঞ্চলের একটি শপিং মল সম্পর্কে। এখানেই রয়েছে বিশ্বের সবথেকে আধুনিক শৌচাগার। একটি নয়, প্রতিটি ফ্লোরে আলাদা আলাদা শৌচাগার রয়েছে। সবকটিই সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। বসার জায়গা থেকে শৌচস্থান, সবই অন্য রকম। এছাড়া আদুনিক যন্ত্রের ছড়াছড়ি এইসব টয়লেটে। ঢুকলে মনেই হবে না শৌচাগারে ঢুকেছেন। চারিদিকে ফুলের সুবাস। কারণ টয়লেটের অন্দরেই রয়েছে একগুচ্ছ ফুলের গাছ। শুধু তাই নয়, সবকটি টয়লেটই আলাদা ভাবে সাজানো। কোথাও ঢুকলে মনে হবে ভবিষ্যতের দুনিয়া, কোথাও মনে হবে দামি রেস্তরাঁর অন্দরমহল। এমনকি পিয়ানো অবধি রাখা আছে। কেউ চাইলেই তাতে গান বাজাতে পারেন।
:আরও শুনুন:
বিশ্বজুড়ে ভাইরাস আক্রমণ থেকে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদ, আগেই দেখানো হয়েছে এই কার্টুন
প্রতিটা টয়লেটই আকারে ফুটবল মাঠের সমান। চাইলেই দৌড়ানো যাবে টয়লেটের ভিতর। বেসিনগুলোও দেখার মতো। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জোরে নিজে থেকেই জল পড়ে এইসব বেসিনে। আবার কল বন্ধও হয় আপনা থেকেই। একই ব্যবস্থা কমোডের ক্ষেত্রেও। আলাদা করে কোনও সুইচ টেপার দরকার নেই। সবটাই যন্ত্রচালিত। যখন যতটুকু জল প্রয়োজন তা আপনা থেকেই বেরিয়ে আসবে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে এইসব টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। যে কেউ চাইলেই এখানে ঢুকতে পারেন। ভিতরে এতটাই জায়গা রয়েছে যে বাইরে অপেক্ষা করার প্রয়োজনও পড়বে না। এতকিছু থাকলে শৌচাগার দেখতে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। যদিও স্রেফ দেখলেই হল না, বাকিদের জানাতেও হবে এমন অভিজ্ঞতার কথা। তাই চিনের এই টয়লেটে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন ভ্লগাররাও। ভিডিও করে গোটা দুনিয়াকে দেখাচ্ছেন এমন অদ্ভুত শৌচাগার। যা দেখে নেটদুনিয়াও রীতিমতো অবাক।