১৩ বছর পর সাফল্য। সদ্য টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত-বিরাটদের কৃত্বিতে উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ। কিন্তু এর নেপথ্যে স্রেফ ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়দের অবদান নেই। রয়েছেন আরও একজন। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘তুমি কাশী যেতে পার, যেতে পার গয়া, পাবে না এমন দ্বিতীয় অপয়া!’ পাতালঘর সিনেমায় মনু মুখোপাধ্যায়ের এই ডায়লগ অনেকেরই চেনা। কিন্তু বাস্তবে এমন অপয়া বলে কিছু হয়? নেটদুনিয়ার দাবি অবশ্যই হয়। আর সেই অপয়াকে কাজে লাগিয়েই নাকি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত।
আরও শুনুন: রাজপথে এগিয়ে চলে জগন্নাথের রথ, ঝাড়ু হাতে রাস্তা সাফ করেন মহম্মদ আখতার
ব্যাপারটা ঠিক কী?
তাহলে খুলেই বলা যাক। আসলে, জেতার জন্য যে লাক ফ্যাক্টর প্রয়োজন তা বিশ্বাস করেন প্রায় সমস্ত খেলোয়াড়। স্রেফ ভাগ্য সাথ না দেওয়ার জন্য আচ্চা আচ্চা খেলোয়াড় শেষ হাসি হাসতে পারেন না। সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপেও সেই লাক ফ্যাক্টর বিশেষ কাজ দিয়েছে বলে দাবি নেটিজেনদের। অবশ্য তা রোহিতদের লাক ফ্যাক্টর নয়। বরং ১৩ বছর পর ভারতীয় সমর্থকদের ঠোঁটে বিশ্বজয়ের হাসি ফুটেছে অন্য একজনের কারণে।
আরও শুনুন: মানুষ নয়, আত্মহত্যা রোবটের! অতিরিক্ত কাজের চাপই কি কাড়ল প্রাণ?
যে কোনও ঘটনা নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে যায়। রোহিতদের ম্যাচের পরও কম হয়নি। সেখানেই উঠে এসেছে প্রফুল্ল বিলোরের নাম। বছর খানেক আগে মধ্যপ্রদেশের এই ব্যক্তির নাম বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল। তবে এই নাম নয়, তিনি সকলের কাছে এমবিএ চায়েওয়ালা হিসেবে পরিচিত। ম্যানেজমেন্টের ডিগ্রী নিয়েও তিনি যেভাবে চা বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, তা নজর কেড়েছিল সকলের। অল্প দিনের মধ্যেই তাঁর নাম ব্রান্ডে পরিণত নয়। চা বিক্রি করেই কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেন প্রফুল্ল। স্বাভাবিকভাবেই সেলেব্রিটি মহলে তাঁর যাতায়াত বাড়ে। অন্যান্যদের মতো তিনি নিজেও অবশ্য সেলেব্রিটিই হয়ে ওঠেন ওই কদিনে। এরপরই শুরু হয় এক অদ্ভুত ঘটনা। দেখা যায়, যার সঙ্গে প্রফুল্ল দেখা করছেন বা ছবি তুলছেন তাঁর জীবনেই কিছু না কিছু খারাপ হচ্ছে। প্রথমে এই ব্যাপারটা কারও নজরে না এলেও, সোশাল মিডিয়ার দৌলতে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই নিয়ে নানা গুজব ছড়াতে শুরু করে। সবটাই অবশ্য সোশাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ ছিল। মোটের উপর সকলের মনে এই ধারনাই জন্মায় যে, এমবিএ চাওয়ালা কারও সঙ্গে ছবি দিচ্ছেন মানেই, সেই ব্যক্তির সঙ্গে কিছু না কিছু খারাপ হবে। এদিকে নিজের সম্পর্কে এমন ধারণা চেষ্টা করেও বদলাতে পারছিলেন না প্রফুল্ল। তাই তিনি ঠিক করেন নিজেকে উল্টোভাবে কাজে লাগাবেন। বিশ্বাস অবিশ্বাস সবটাই মনের ব্যাপার। তাও যে খেলার সঙ্গে এত মানুষের আবেগ জড়িয়ে সেখানে কিছু ভুল হোক তা চাননি প্রফুল্ল। তাই ভারতীয় হয়েও বিশ্বকাপে তিনি সমর্থন জানান প্রোটিয়াদের। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি পরে ছবিও দেন। আর এতেই নাকি তীরে এসে তরী ডুবেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তাতে আর যাইহোক ভারতীয় সমর্থকরা বেশ খুশি। কিছুদিন আগে একটি সিনেমাতেও এই লা ফ্যাক্টরের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু একে এমন উলটোভাবে কাজে লাগানো যে আদৌ সম্ভব, তা দেখিয়ে দিয়েছেন এমবিএ চায়েওয়ালা।