কয়েক মাস আগেও এতটা জনপ্রিয় ছিলেন না এই মুখ্যমন্ত্রী। রাতারাতি অনুগামীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়েছে। আর দিন দিনে তা বেড়েই চলেছে। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বয়স খুব বেশি নয়। এর মধ্যেই বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে। একা হাতেই সামলাচ্ছেন গোটা রাজ্য। দলের লোকই বিপক্ষে সুর তুলেছে। তাতেও এতটুকু দমে যাননি। বরং চোখে চোখ রেখে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। রাজ্যের মানুষও তাঁকে মেয়ের মতো ভালোবেসে আগলে নিয়েছেন।
:আরও শুনুন:
কানওয়ার যাত্রায় জাতপাতের দ্বন্দ্ব, এদিকে মুসলিমদের তৈরি বাঁক কাঁধে হাঁটছেন ভক্তরা
কথা বলছি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাধুরী যাদব সম্পর্কে। ভাবছেন তো, যোগী আদিত্যনাথের জায়গায় কবে এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলেন! আসলে, এই মাধুরী বাস্তবের কোনও চরিত্র নন। মির্জাপুর সিরিজে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই চরিত্রটিকে দেখানো হয়েছে। আর সেই চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন ইশা তলওয়ার। মির্জাপুরের প্রতিটি সিজনেই তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। তবে সদ্য মুক্তি পাওয়া মির্জাপুর ৩-এ ইশার জায়গা রয়েছে অনেকটা। তাঁর অভিনীত চরিত্রও এই সিজনে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। এই সিজনে ইশাকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাধুরী যাদন হিসবে দেখানো হলেও, প্রথম সিজনে এমনটা ছিল না। তখন তাঁর পরিচয় ছিল মুখ্যমন্ত্রী সুর্য প্রতাপ যাদবের কন্যা হিসেবে। অল্প বয়সে বিধবা মেয়ের বিয়েও দেন সূর্য প্রতাপ। মির্জাপুরের অন্যতম মুখ্য চরিত্র মুন্নার সঙ্গে বিয়ে হয় মাধুরীর। কিন্তু দ্বিতীয় সিজনে মুখ্যমন্ত্রী সূর্য প্রতাপকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়। আর তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর জায়গা নেন মাধুরী। দ্বিতীয় সিজনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাধুরীর দাপট সেইভাবে দেখা না গেলেও, তৃতীয় সিজনে তিনি বেশ সাড়া ফেলেছেন। গোটা সিরিজটাই যে গুণ্ডারাজকে কেন্দ্র করেন, মাধুরী সেই আতঙ্কই চিরতরে মুছতে চেয়েছেন। জনসমক্ষে ঘোষণা করেছেন ভয়মুক্ত প্রদেশ গড়ার। তাঁর এই স্বপ্ন আদৌ পূরণ হয় কিনা, তাঁর জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরের সিজনের জন্য। তবে এই চরিত্র বাস্তবের ইশাকে রীতিমতো জনপ্রিয় করেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
:আরও শুনুন:
ক্ষমতার লড়াইয়ে রাজা-উজিরের কিস্তিমাত, শেষ হাসি হাসলেন কে?
এমনিতেই ইশা তলওয়ার বলিউডের চেনামুখেদের একজন। স্রেফ মির্জাপুর নয়, আরও বিভিন্ন সিনেমা বা সিরিজে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মন জিতেছে। তবে মির্জাপুর তাঁর ক্যারিয়ারের মাইলফলক বলা যায়। বিশেষ করে সিরিজের তৃতীয় সিজনটি ইশার জীবনে বড় পরিবর্তন এনেছে। এতদিন সোশাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ। তবে মির্জাপুর ৩ রিলিজ হওয়ার পর ইশার ফলোয়ার সংখ্যা পৌঁছেছে ১২ লক্ষে। প্রতিদিন সে সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় তাঁর অভিনয়ের প্রশংসাও হয়েছে রীতিমতো। প্রথম দুই সিজনে সেইভাবে দেখা না গেলেও, তৃতীয় সিজনে যে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইশা তা অবাক করছে সকলকে। মির্জাপুরের আগামী সিজনেও তাঁকে এইভাবে দেখা যাক, এমনটাই চেয়েছেন অনুগামীরা।