বাজার করলেই খসবে দু-লাখ! এমনটাই নাকি নিয়ম এই বাজারে। তার জেরেই বিশ্বের সবচেয়ে দামী তকমা জুটেছে। কিন্তু কেন এমন দামের বাড়াবাড়ি? সাধারণ মানুষের কী প্রবেশ নিষেধ এই বাজারে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সদ্য ঘোষণা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট। দাম বেড়েছে বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের, দাম কমেওছে অনেক কিছুর। মোটের উপর এবারের বাজেটকে মধ্যবিত্তের বাজেট বলেই দাগিয়েছেন অনেকে। কিন্তু বাজেট যাই বলুক, কিছু জিনিসের দাম কমার নয়। সোনার কথাই ধরা যাক। প্রতি বছর নিয়ম করে বেড়েই চলেছে হলুদ ধাতুর দাম। তবে স্রেফ সোনার মতো বহুমূল্য জিনিস নয়, সাধারণ প্রয়োজনের জিনিসের দামও আকাশছোঁয়া হতেই পারে। ভাবছেন তো কীভাবে? তাহলে খুলেই বলা যাক।
:আরও শুনুন:
প্রতি বাজেটে বদলে যায় অর্থমন্ত্রীর শাড়ি, নেপথ্যে কী বিশেষ কোনও কারণ?
বাজার নেই, এমন জায়গা গোটা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন। চলতি ধারণা বলে, গ্রামের দিকের বাজারে দাম কম আর শহরে বেশি। ভুল নেই, এমনটাই বাস্তবে হয়। কিন্তু বিশ্বের সবথেকে দামি বাজারের তকমা পেয়েছে একটিই বাজার! কথা বলছি, ইটালির মিলান শহরের মন্টে নেপোলিয়ান সম্পর্কে। স্রেফ দামি নয় বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাজারও এটিই। সাধারণ জিনিস, মানে বাজারে যাকে দেশী বলা হয়, সেসব এখানে পাওয়া যায় না। যা কিছু উপলব্ধ সবই ব্র্যান্ডেড। সেক্ষেত্রে দেশের ব্র্যান্ড হতে পারে, তবে তা দামি হওয়া চাই-ই চাই। ব্যাগ, জামাকাপড়, জুতো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের গয়নাও পাওয়া যায় এই বাজারে। এছাড়া স্থানীয় বুটিক রয়েছে। তার দামও আকাশছোঁয়া। তবে আলাদা করে জায়গার জন্য দাম বেশি এমন নয়, বরং বিশ্বের যাবতীয় যা কিছু মূল্যবান, সেই সবই পাওয়া যায় এই বাজারে। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে ক্রেতার সংখ্যা কম, পর্যটকের সংখ্যা বেশি। অনেকটা শহরের নামীদামি শপিং মলের মতো। ঝাঁ চকচকে চারদিক, সকলেই ঘুরে ঘুরে দেখেন, ছবি তোলেন।
:আরও শুনুন:
একরাত কাটানোর খরচ ৮৩ লাখ! বিশ্বের সবথেকে দামি হোটেল চেনেন?
দোকান ছাড়াও এই বাজারে রয়েছে একাধিক স্থাপত্য। সেগুলিও নজরকাড়া। বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন স্রেফ এই বাজার দেখার লোভে। তবে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই বাজারের সবরকম জিনিসের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। তাতে অবশ্য পর্যটকদের কিছু যায় আসে না, তাঁরা ঘুরতে পারলেই খুশি। তাই এই বাজারকে জনসংযোগের মাধ্যম মনে করে বিভিন্ন সংস্থা। নামীদামি ব্র্যান্ডের তরফে অনুষ্ঠান করা হয় হামেশাই। এখানে দোকান দিতে পারাটাও অনেক সংস্থার কাছে স্বপ্নের মতো। কারণ চাইলেই যে সে সুযোগ মিলবে তা নয়। দোকানের ভাড়াও রীতিমতো বেশি। লাখ টাকার উপর ভাড়া গুনতে হয় স্রেফ একটা ঘর নেওয়ার জন্য। আর একইসঙ্গে অনেকগুলো দোকান নিলে তো কথাই নেই! তাও এত জনপ্রিয় জায়গায় দোকান খালি থাকে না একটিও। ক্রেতা নেই এমনটা ভাবাও ভুল। উচ্চবিত্তদের ভিড়ও লেগেই থাকে এই বাজারে। তাতে পুষিয়ে যায় এখানকার দোকানগুলির। পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় এখানকার ঝাঁ চকচকে জীবন তুলে ধরে মোটা টাকা রোজগার করেন অনেকে। সবমিলিয়ে মিলান শহরের মন্টে নেপোলিয়ান রীতিমতো চর্চায় থাকার মতো এক বাজার।