বাড়ির খাবার ঠিক রাখে শরীর, রেস্তরাঁর খাবার ঠিক রাখে মন। তাই অনেকেই শরীর অপেক্ষা মনের কথা বেশি ভাবেন। সমস্যা একটাই, রোজ রোজ রেস্তরাঁয় খেয়ে পকেটের হাল বেহাল। চিন্তা নেই, কয়েকটা উপায় মানলেই এই সমস্যা মিটতে বাধ্য! কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বৃষ্টির দোসর খিচুরি। ঠাণ্ডা মানেই কড়াইশুঁটির কচুরি। সঙ্গে নলেন গুড়ের রসোগোল্লা। কিন্তু রোজ রোজ সব তৈরি করা তো ভারি ঝক্কি! তাই আজকাল শীত-গ্রীষ্ম বর্ষা, বিরিয়ানিই ভরসা। স্বাদ বদলে রোল,চাউমিন, মোমো, ফিসফ্রাই চলতেই পারে। স্রেফ খাবারটা রেস্তরাঁর হতে হবে এই যা।
সমীক্ষা বলছে, দেশের প্রায় সব শহরেই অনলাইনে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। স্বাস্থ্যের কথা ভুলে, স্বাদের আনন্দেই মাততে চাইছেন সকলে। ভিড় রেস্তরাঁতেও কম নেই। নামকরা জায়গায় হঠাত হাজির হলে বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতেই হবে। ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। কিন্তু রোজ রোজ এত বাইরে খেলে, পকেটের স্বাস্থ্যও বিগড়োতে বাধ্য। তাকে অবহেলা করার উপায়ও নেই। তাই মাসের শেষে বাধ্য হয়ে রেস্তরাঁর পথ ভুলতে চান অনেকে। কিন্তু এই সমস্যা মিটতে পারে সামান্য বুদ্ধি খরচ করলেই। অর্থাৎ রেস্তরাঁয় খেলেও মানিব্যাগ চট করে খালি হবে না কয়েকটা নিয়ম মানলেই।
ঠিক কী করতে হবে?
যে কোনও কাজেই টাকা বাঁচানোর সবথেকে প্রধান উপায় পরিকল্পনা। আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে, কী খাবেন কোথায় খাবেন। তাহলেই টাকা খরচের পরিমাণ খানিকটা কমবে। কারণ খুঁজতে গেলেই চোখে পড়বে কোন রেস্তরাঁর কোন খাবার ভালো। দামের দিকটাও তখনই বুঝে নেওয়া সম্ভব। তাই আলাদা করে রেস্তরাঁয় গিয়ে হিসাব করতে হবে না টাকার। ধরে নেওয়া যাক মোগলাই ডিশ খাওয়ার কথা কেউ ভেবেছেন। এক্ষেত্রে বিরিয়ানিই প্রথম পছন্দ। সেটা না হলে আগে থেকে খুঁজে নিতে হবে কোন রেস্তরাঁয় কী খাওয়া হবে। এইবার দেখতে হবে কোথাও ছাড় দিচ্ছে কি না। অনলাইনে আনলে ছাড় মিলবেই। কিন্তু সব রেস্তরাঁয় সবসময় ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে না। কাজেই একটু খুঁজে নিলে দেখা যাবে একই খাবার বেশ খানিকটা ডিসকাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে। অনেক সময় হ্যাপি আওয়ার চালু থাকে রেস্তরাঁয়। সেই সময় ধরে খেতে গেলেও টাকা বাঁচবে। এবার আসা যাক কীভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে। এক্ষেত্রে অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার। মানে আগে খাও তারপর বিল মেটানোর সময় থাকবে অন্তত একমাস। সব কার্ডে সুদও দিতে হয় না। উপরন্তু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের জন্য অনেকসময় আলাদাভাবে ছাড় মেলে। ফ্রি-তেও কিছু পদ মিলতে পারে কার্ড থাকলে। এছাড়া কিছু কিছু রেস্তরাঁ গ্রাহকের জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেন। সেইমতো হিসাব করে খেতে গেলেও টাকা বাঁচতে পারে। তাও রোজ রোজ খাবার খেলে টাকা খরচ হবে না এমনটা ভাবা ভুল। হিসাব করে খরচ করলে কিছুটা সঞ্চয় হতে পারে মাত্র।