শূকরদের নামে গোটা একটা সৈকত। শুধু সৈকতই নয়, সেখানে একটা গোটা দ্বীপই ধার্য করা হয়েছে এই বরাহবাহিনীর নামে। তবে যে সে শুয়োর নয় তারা। সাঁতারে পটু এইসব শুয়োরেরাই ওই দ্বীপের ইউএসপি! রীতিমতো রাজার হালেই এখানে থাকে তারা। কোথায় রয়েছে শুয়োরদের এই বিলাসবহুল সৈকত? সে গল্পই শোনাব আজ।
শূকরদের পশুকূলে তেমন মানসম্মান নেই। পোষ্য হিসেবে কেউ কেউ যে একেবারেই ঘরে ঠাঁই দেয় না তা নয়। তবে শুয়োরেরা যেন পশুসমাজে একটু একঘরে। কার্টুনপ্রিয় খুদেদের দুনিয়ায় অবশ্য পেপা পিগের জনপ্রিয়তা বেশ বেশি। তা বাদে, এই শূকর বা শুয়োরদের কেউ বিশেষ কদর করে না। ঝোপেঝাড়ে কাদামাখা খালবিলের ধারে তারা ঘোরে। শস্যখেতে বিস্তর ক্ষতি করার জন্য বুনো শুয়োরদের বেশ ভয়ডর পেলেও এসব পাতি শূকরদের একেবারেই পদবাচ্য হিসেবে ধরা হয় না। যদিও পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে সুস্বাদু মাংসের কারণে শূকরের বেশ নামডাক।
আরও শুনুন: এ নাকি ‘যৌবনের হ্রদ’! রাত নামলেই জ্বলে ওঠে নীল আলো, নেপথ্যে কোন রহস্য?
তবে এমনও জায়গা আছে, যেখানে রাজা সেসব নাদুসনুদুস শুয়োরেরাই। কারণ সেটি তাদেরই সৈকত। শুধু সৈকতই নয়, একটি গোটা দ্বীপও ধার্য করা আছে তাদেরই নামে। কোথায় রয়েছে এই আশ্চর্য দ্বীপ, ভাবছেন নিশ্চয়ই।
বাহামা দ্বীপপুঞ্জের কাছে এক্সুমার কাছে রয়েছে ওই পিগ দ্বীপ, যেখানে রয়েছে একটি শূকর সৈকতও। ওখানে গেলেই পালে পালে শূকর দেখতে পাবেন ভাবলে কিন্তু ভুল ভাবছেন। খুব বেশি হলে জনা কুড়ি শূকরের বাস সেই দ্বীপে। তবে যে সে শূকর বলে মোটেই ভাববেন না তাদের। একটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই দ্বীপের বরাহবাহিনী। তারা নাকি দিব্যি সাঁতার কাটতে পারে। আর তাও আবার ওই সমুদ্রের জলে।
আরও শুনুন: জলে মুখ দেখলেই বৃত্তের আকার নেয় সেতু! কোথায় রয়েছে এই আশ্চর্য ব্রিজ?
এই দ্বীপে তারা নাকি থাকে রীতিমতো রাজার হালে। সাদা বালির সৈকত, পাম গাছের ছায়া ঘেরা ছোট ছোট বিশ্রামস্থল। রোদ্দুরের দিনে চকচক করে সমুদ্রের জল। আর সেই নীল জলে দিব্যি একটা আয়েসি সাঁতার সেরে আসে মোটাসোটা প্রাণীগুলি। তার পর সমস্ত দিন সমুদ্রসৈকতে হুটোপাটি। পর্যটকদের কল্যাণে প্রায়শই ভালমন্দ খাবারদাবারও জুটে যায় তাদের।
কোথা থেকে যে ওই নির্জন সৈকতে এসে পড়েছিল বরাহবাহিনী, তা অবশ্য ঠিক করে জানা যায় না। কেনই বা এসেছিল অমন একখানা দ্বীপে, তা-ও অজানা। তবে মনে করা হয়, কোনও নাবিকের দলের হাত ধরে একদিন ওই দ্বীপে ঢুকে পড়েছিল তারা।
শুনে নিন বাকি অংশ।