ঠিক একখানা গিটার। তবে এই গিটার বাজিয়ে সুর তুলতে পারবেন না কেউই। বদলে এই গিটারের মধ্যে ঢুকে বাস করতে পারেন যে কেউ। কারণ দেখতে গিটার হলেও আসলে এটি একটি ঝাঁ চকচকে হোটেল। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সারা পৃথিবী জুড়ে বিলাসবহুল হোটেলের কমতি নেই। সেসব হোটেলে থাকার অভিজ্ঞতাও রাজকীয় জীবনযাপনের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অন্যান্য হোটেলের তুলনায় স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে অনেক হোটেলই নিজেদের সাজিয়ে তোলে অভিনব উপায়ে। কোথাও দেখা যায় সমস্ত দেওয়ালটাই কাচের, কোথাও আবার ছাদটাই নেই মাথার উপর, কোথাও আবার মেঘের মধ্যেই ভাসে হোটেল। সেইসব আশ্চর্য হোটেলের তালিকাতেই অনায়াসে নাম লিখিয়ে ফেলতে পারে এই গিটার হোটেল। এই হোটেলে এক রাতের খরচ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৮ হাজার টাকা।
কোথায় রয়েছে এই হোটেল? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: ঘরের ছাদ, দেওয়াল নেই… তবু হোটেল ভাড়া ২৬ হাজার টাকা, কেন জানেন?
দক্ষিণ ফ্লোরিডায় সেমিনোল হার্ড রক হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোতে রয়েছে এই গিটার হোটেল। নাম যেমন, তেমন এই হোটেলের ভিতরে গেলে দেখা যাবে বিভিন্ন বিখ্যাত সংগীতশিল্পীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র। খোদ এলভিস প্রেসলির পোশাক, এমনকি বাইকও রাখা রয়েছে হোটেলের মধ্যে। শুধু তাই নয়, পপ গায়িকা রিহানা, গায়িকা ম্যাডোনার পোশাকও সাজিয়ে রাখা আছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও এক সংগীতশিল্পী নীল ডায়মন্ডের গাড়ি।
আরও শুনুন: মাটিতে দাঁড়িয়ে নেই, মেঘের মিনারে ভাসছে এই আশ্চর্য হোটেল
বিশ্বের প্রথম ‘গিটার হোটেল’ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয় এই হোটেলটিকে। এই বিলাসবহুল হোটেলের উচ্চতা ৪৫০ ফুট। ৪৫টি তলা বিশিষ্ট এই হোটেলে রয়েছে ৬৩৮টি গেস্ট রুম এবং স্যুইট। এ ছাড়া সেমিনোল হার্ড রক হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোর মধ্যে রয়েছে ১৯টি রেস্তরাঁ, ২০টি পানশালা, নাইটক্লাব, স্পা। আর সেইসব বিলাসের উপকরণ উপভোগ করতে পারেন হোটেলের বাসিন্দারা। হোটেলের বাইরে সবুজের সারি, নীল জলের সুইমিং পুল, সব মিলিয়ে হোটেলটি দেখার মতোই। আবার রাতে নিয়ন আলোর রোশনাইয়ে চেহারা পাল্টে যায় হোটেলের। বদলে বদলে যায় আলোর রংও। বাইরে থেকে হোটেলকে যতটা সাজানো গোছানো লাগে, অন্দরসজ্জাও চোখধাঁধানো। হোটেলের অন্দরমহলও সাজানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম, ভাস্কর্য ইত্যাদি দিয়ে। রয়েছে বিশাল ঝরনাও। এই বিলাস আর সৌন্দর্যের যুগলবন্দির টানে এখানে ছুটি কাটাতে আসেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ধনী আর অভিজাত মানুষেরা।