ডিভোর্স পেতে সমস্যা? এই হোটেলে রাত কাটালেই মিলবে সমাধান, এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের। এখানে রাত কাটিয়েই বহু দম্পতি পাকাপাকিভাবে দাঁড়ি টানতে পেরেছে সম্পর্কে। ঠিক কোথায় রয়েছে এমন হোটেল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ের সম্পর্কে দাঁড়ি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি। কিন্তু ডিভোর্স হচ্ছে না কিছুতেই! আইনি পথে সম্পর্ক শেষ করতে হাজার ঝক্কি। সেসব সামলাতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন দুজনেই। এদিকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দূরত্ব, এক ছাদের নীচে থাকা মানেই অশান্তি। এক্ষেত্রে সহায় হতে পারে ডিভোর্স হোটেল।
কোনও হোটেলের নাম যে এমন, তা নয়। বরং একে হোটেলের বিশেষ ধরন বলা যেতে পারে। এখানে সময় কাটাতে আসেন মূলত বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া দম্পতিরা। হোটেল কর্তৃপক্ষ সেইমতো ব্যবস্থা করে সবকিছু। এমনিতে বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা সারতে নবদম্পতিরা হোটেলে যান, তবে এখানে ব্যাপারটা পুরো উলটো। কর্তৃপক্ষের দাবি, এর আগেও বহু দম্পতি এখানে রাত কাটিয়ে পাকাপাকিভাবে সম্পর্কে দাঁড়ি টানতে পেরেছেন। ডিভোর্সের জন্য যে আইনি সহায়তা প্রয়োজন তাও হোটেলের তরফেই করা হয়। এমনটাও হয়েছে যে, শুক্রবার হোটেলে চেক-ইন করেছেন এমন দম্পতি সোমবার ডিভোর্স পেপারে সই করে আলাদা পথে হেঁটেছেন। মাত্র তিনদিনের মধ্যে যাবতীয় বাধা পেরিয়ে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে এ দেশে এমন হোটেল নেই। তার জন্য যেতে হবে নেদারল্যান্ডসে। জিম হালফেনস নামে সে দেশের এক ব্যবসায়ী প্রথমবার এমন অদ্ভুত ব্যবসার কথা ভাবেন। সবাই যেখানে হোটেল বলতে প্রেম আর ভালোবাসার কথা বোঝেন, ইনি ঠিক উলটোটা ভেবেছেন। তাই বলে এই হোটেলে যে মারামারি হয় এমন নয়! দায়িত্ব নিয়ে দম্পতির কথা শোনা হয়। কেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত, সেটা বোঝার চেষ্টা করেন। যদি সত্যিই প্রয়োজন হয়, তাহলে বিচ্ছেদের বাকি ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষই করে দেন। একাধিক নামকরা ডিভোর্স ল-ইয়ার এখানে রয়েছেন। সবরকম আইনি সাহায্য করেন তাঁরাই। প্রতি ১৭ জন দম্পতির মধ্যে ১৬ জনেরই বিচ্ছেদ করিয়ে দিতে পারে এই হোটেল, এমনটাই জোর গলায় দাবি করে কতৃপক্ষ। তাই এই হোটেলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। আগামীদিনে অন্যান্য দেশেও এমন হোটেল খুলতে চান জিম। আসলে, বিয়ের মতো বিচ্ছেদটা যে সহজ ভাবে মেনে নেওয়া উচিত, এই ভাবনা থেকেই এমনটা করতে চেয়েছেন তিনি। তাতে সকলের সুবিধা হবে, বলা ভালো হচ্ছেও।