দীপাবলিতে আলোর মালায় সেজে ওঠে চারদিক। যতই প্রদীপ থাকুক, পাল্লাভারি সেই কৃত্রিম আলোর। দেখতেও লাগে বেশ। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। বিদ্যুতের বিলও বাড়ে পাল্লা দিয়ে। কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন বিলের অঙ্ক? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দীপাবলি। আলোর উৎসব। চারিদিকে আলোর মালায় সেজে উঠবে। এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যা স্বাভাবিক নয়, সেটা হল বিদ্যুতের বিল। দীপাবলি, কালীপুজো সহ যাবতীয় উৎসব পেরিয়ে বাড়িতে যখন বিদ্যুতের বিল আসে, তখন চক্ষু চড়কগাছ হয় অনেকের। রেহাই মিলবে কীভাবে?
উপায় একটা নয় অনেকগুলো রয়েছে। আসলে, প্রতি বছর দীপাবলি এলেই বাজার কৃত্রিম আলোর মেলা বসে। হরেক রকম বাহারি আলো বিক্রি হয় পথে ঘাটে। দামও অনেক সময় সাধ্যের মধ্যেই থাকে। তাই একটার জায়গায় একাধিক আলো কিনে ফেলেন কেউ কেউ। যত্ন করে অন্দর মহল সাজিয়ে দেন সেই আলোয়। এইসময় বাইরে এমনিই আলোর কমতি নেই। তার সঙ্গেও আরও নতুন আলো যোগ করেন অনেকে। সবমিলিয়ে চারিদিক আলোয় আলোময় হয়ে ওঠে। চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার জোগাড়। আলোর উৎসব অবশ্য বেশিদিনের নয়। বড়জোর এক সপ্তাহ কাটে ওইভাবে। তারপর আবার আগের মতো। কিন্তু এরপরও চোখ ধাঁধিয়ে যেতেই পারে। আলোর ঝলকানিতে নয়, বিদ্যুতের বিলে টাকার অঙ্ক দেখে। অনেকেই দাবি করেন, কালীপুজোর পর বিদ্যুতের বিল অস্বাভাবিক বেড়েছে। বেশিরভাগের দাবি, এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে ওই বাহারি আলো। বিষয়টা পুরপুরি ভুল নয়। আবার সম্পূর্ণ সঠিকও নয়। কারণ এই বাহারি আলো হিসেবে যা বিক্রি হয় তার বেশিরভাগই এলইডি। যার বিদ্যুৎ খরচ একেবারেই কম। কিন্তু অনেক সময় বাজারে এলইডির মতো দেখতে সাধারণ আলোও বিক্রি হয়। তা বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দিতে পারে অনায়াসে। এই ধরনের আলো দামে খানিক কম হয়। তাই লোভে পড়ে অনেকে কিনে ফেলেন। তাতে সমস্যা হয় পরে।
তবে স্রেফ বাহারি আলো নয়, এইসময় বিদ্যুতের বিল বাড়ার আরও কারণ থাকতে পারে। হতে পারে, বাড়ির বিদ্যুৎ অনৈতিক ভাবে ব্যবহার করেছে স্থানীয় ক্লাব বা পুজো কমিটি। সেক্ষেত্রে রাস্তায় সারারাত ধরে জ্বলতে থাকা আলোর বিলও চোকাতে হবে বাড়ির মালিককে। আগেভাগে সাবধান হলেই এই সমস্যা এড়ানো যাবে। সন্দেহ হলে বাড়ির মিটার বক্স পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। নজর রাখতে হবে কোনওভাবে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগে অন্য কোনও তার জোড়া হয়েছে কিনা। এছাড়া অনেকে আলো নেভাতে ভুলে যান। এতেও বিদ্যুৎ বিল বাড়ে। এছাড়া ফ্রিজ, এসি সম্পর্কে সাধারণ যেসব নিয়মের কথা সংস্থার তরফে বলা হয় তা মানলেও বিদ্যুতের বিল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রয়োজন মিটে গেলে ফ্যান, লাইট নিভিয়ে দিতে হবে। ইলেকট্রিক বালব, পুরনো পাখা, এসি, এইসব থাকলে তা বদলে নেওয়াই ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই বেশি হয়। এইসব সাধারণ নিয়ম মানলেই দীপাবলিতে নিশ্চিন্তে আলো জ্বালানো যেতে পারে, বিদ্যুতের বিল নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করেই।