ক্লান্তি মেটাতে চাই ঘুম। মন ভালো করতেও চাই ঘুম। কিন্তু চাইলেই তা মিলছে কোথায়! দিনের বেলায় তো বটেই, রাতভর দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না অনেকেই। নানা কারণে নিদ্রাহীন রাত কাটাতে হচ্ছে। এদিকে কাজের ছুটি নেই। কীভাবে সারারাত না ঘুমিয়েও ক্লান্তি মেটাবেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ছোট থেকেই রাত জেগে পড়াশোনার অভ্যেস। বড়বেলাতেও তা বদলায়নি। সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরেও ঘুম নেই চোখে। হয় অন্য কোনও কাজ নাহলে সিনেমা দেখে রাত কাটাচ্ছেন। অনেক সময় বাড়ি ফেরাও হচ্ছে না। সারারাত কেটে যাচ্ছে রাস্তায়। এদিকে পরদিন কাজে যেতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজও থাকতে পারে। সেখানে ঘুম এলে মুশকিল।
এহেন অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখবেন কি করে?
কথায় আছে, ঘুম আমাদের বার্থরাইট। শরীরের জন্যও তা আবশ্যক। না ঘুমিয়ে যতই কাজ করা হোক, একটা সময়ের পর শরীর আর দেবে না। তখন ঘুমই একমাত্র ওষুধ। আর এমনটা দীর্ঘদিন করলে শরীরে অনায়াসে বাসা বাঁধবে নানা রোগ। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন দিনে অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা নিশ্চিন্তের ঘুম প্রয়োজন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের। কিন্তু চাইলেও তা হচ্ছে না। তবে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখলে কম ঘুমে কিছুটা হলেও ক্লান্তি মেটানো। প্রথমেই পরিবেশের সঙ্গে নিজের সংযোগ বাড়াতে হবে। অর্থাৎ খোলা জানলার ধারে বা ফাঁকা মাঠে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে হবে। শীতের দিন হলে গায়ে মিঠে রোদ লাগানো বেশ কাজের। এত মন ফুরফুরে হবে। ঘুম কম হলেও ক্লান্তি তেমন মনে হবে না। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া-দাওয়ার দিকেও। ঘুম কম হলে বাইরের খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে দেওয়া ভালো। বিশেষ করে প্রসেসড ফুড। বেশি মিষ্টি খেলেও বিপদ হতে পারে। এইসময় সহজে হজম হবে এমন খাবার বেশি উপযোগী। প্রয়োজনে ফল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু খাবার না খেয়ে থাকলেও চলবে না। অল্প করে হলেও খেতে হবে। নাহলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। জল খেতে হবে অনেকটা পরিমাণে। তাতে শরীর সুস্থ থাকবে।
তবে এই অবস্থায় সবথেকে বেশি কাজ দেয় পাওয়ার ন্যাপ। অল্প সময়ের জন্য ঘুম। খুব বেশি হলে মিনিট ১৫। এতে শরীর অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ক্লান্তি কাটবে নিমেষে। এমনকি নতুন কাজের উদ্যমও আসবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই ঘুমে যেন কোনও ব্যাঘাত না আসে। তাহলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এছাড়া অনেকে ঘুম কাটাতে কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতেও সমস্যা নেই। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে ক্যাফেইনের পরিমাণ খুব বেশি না হওয়াই ভালো। কফি খেলেও তা বিনা চিনির হতে হবে। তবে হ্যাঁ, ঘুমের ঘাটতি হলে তার ছাপ শরীরে পড়বেই। সাময়িক ক্লান্তি কাটানো গেলেও তা খুব একটা লাভের নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে এমন দিনে বড় কোনও কাজে হাত না দেওয়া। বিশেষ করে কঠিন সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। একমাত্র উপায় ভালো করে বিশ্রাম নেওয়া। তাতে শরীর মন দুইই সুস্থ থাকবে।