বোঝা যাবে না বয়সের ছাপ। তার জন্য দামি ক্রিম মাখার দরকার নেই। খেতে হবে না কোনও ওষুধ। এমনকি আলাদা করে কোনও ব্যায়াম বা যোগাসন করার দরকার নেই। তাহলে? কীভাবে বজায় থাকবে যৌবন? আসুন শুনে নেয়া যাক।
বয়স হলেও বজায় থাকুক যৌবন। এমন স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। কিন্তু চাইলেই তা মিলছে কই! বয়স বাড়লে চেহারায় তার ছাপ ফুটবেই। এমনটাই চিরন্তন সত্য। কেউ কেউ বয়স ধরে রাখতে নিয়মিত পার্লার ছোটেন। সকালে উঠে দৌড়ানো, ডায়েট মেনে খাওয়া দাওয়া সবই করেন। তবে এসবের কিছু না করেও বয়স ধরে রাখা সম্ভব!
আজ্ঞে হ্যাঁ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি। জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যৌবন ধরে রাখতে যে বিশেষ উপায়ের কথা বলা হয়েছে তা বেশ আরামদায়ক। শরীরের জন্যও, মনের জন্যও। কষ্ট তো হবেই না, বরং আনন্দ থাকবে ভরপুর। সেইসঙ্গে জমবে অভিজ্ঞতা। ঠিক ধরেছেন, ঘুরে বেড়ানোর কথাই বলছি। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, ঘুরে বেড়ালেই দিব্য সুস্থ থাকে শরীর। আর এমনটা নিয়মিত করতে পারলে চেহারায় বয়সের ছাপ ধরা পড়ে না। রোজকার কাজের চাপে অনেকেই ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। রোজের ব্যস্ত রুটিনে ডুবে থেকেই দিন কাটে তাঁদের। এমনটা দীর্ঘদিন করলে শরীর ভাঙতে সময় লাগবে না। চাপ পড়বে মনেও। এইসময় ডাক্তারের কাছে গেলেও ওষুধ হিসেবে হাওয়া বদলের পরামর্শ মেলে। আর সেই হাওয়া বদলের জন্য দূরে কোথাও পাড়ি দিলে শরীর তো ভালো হবেই, সঙ্গে উলটোদিকে ঘুরবে বয়সের চাকা।
কিন্তু ঠিক কীভাবে?
নেপথ্যে বিশেষ যুক্তি সাজিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পদার্থবিদ্যায় থার্মোডায়নামিক্স তত্ত্বের সঙ্গে সময়ের যোগ রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এক জায়গার জল হাওয়া দীর্ঘদিন গায়ে মাখলে শরীর-মন একঘেয়ে হয়ে যায়। এর প্রভাবে মনে হয় অনেকটা বেড়েছে বয়স। বাস্তবে বয়স কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু তার গতি কমানো যায় চাইলেই। অন্তত বাইরে থেকে বোঝা না গেলেই হল। ঘুরতে গেলে এমনটাই হতে পারে। ম্যাজিকের মতো একই বয়সের চেহারা, ছাপ রেখে যেতে পারে দীর্ঘদিন। বুড়ো বয়সেও যৌবন ধরে রাখা এভাবেই সম্ভব, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও স্রেফ ঘুরতে গেলেই এমনটা সম্ভব না। নিয়মিত শরীর চর্চা আবশ্যক। কাজ বলতে মনের আরাম। এমনিতে আলাদা করে শরীর চর্চার জন্য উৎসাহ না পেলে ঘুরে আসা যেতে পারে দিন তিনেক। মন ফুরফুরে হতে বাধ্য। পছন্দের জায়গা হলে তো কথাই নেই। ফিরে এসে কাজেও মন বসবে, সেইসঙ্গে অন্যান্য সবকিছুই বজায় থাকবে ভালমতো।