একার জীবন। নিত্যসঙ্গী বলতে সাধের পোষ্য। ঘুম চোখ খোলা থেকে ঘুমাতে যাওয়া অবধি তার সঙ্গেই সময় কাটে। বিশেষ করে রাতের ঘুমে পিয় পোষ্য পাশে না থাকলে ঠিক চলে না। একইভাবে সেও বেজায় স্বচ্ছন্দ্য। কিন্তু এই অভ্যাস কী আদৌ স্বাস্থ্যকর? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে, তাকেও পরিবারের সদস্যের মতোই মনে করেন অনেকেই। খাওয়া, ঘুম, খেলা সবেতেই তার সঙ্গ চাই। এতে একাকীত্ব যেমন কাটে, তেমন পোষ্যটিও বেজায় খুশি হয়। তবে বাড়ির পোষ্যর সঙ্গে ঘুমানো কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো?
আরও শুনুন: নেপথ্যের শিল্পী, উস্তাদ জাকির হুসেনের জন্য তবলা বানান যে রামচন্দ্র
এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তবে মোটামুটি ভাবে একটা ব্যাপারে সকলেই একমত হন। তা হল, পোষ্যকে সঙ্গী করে ঘুমানোয় ক্ষতি তেমন নেই। আর এমনটা দুজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শুধু কয়েকটা ব্যাপার খেয়াল রাখলেই হল। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ পোষ্য ও তার মালিক দুজনেই একেবারে পরিষ্কার পরিপাটি হয়ে থাকছেন, ততক্ষণ দুজনের একসঙ্গে ঘুমানোয় কোনও সমস্যা নেই। বরং এমনটা করলে লাভের লাভ হবে দুজনেরই। জনপ্রিয় এক চিকিৎসকের মতে, পোষ্যর সঙ্গে ঘুমালে একাকীত্ব যেমন কাটে, তেমন নিরাপত্তা বোধও বাড়ে। অনেকের বাড়িতে একইসঙ্গে কুকুর, বিড়াল বা অন্যান্য প্রজাতীর পোষ্যও থাকে। এদের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে এক বিছানায় ঘুমানো যেতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আসলে, বেশিরভাগ পোষ্যই সবসময় তার মালিকের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে। সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাতে ঘুমানোর সময় পোষ্যকেই সমস্ত মনযোগ দিতে সমস্যা নেই। আর এতেই বেজায় খুশি হয় পোষ্যরা। যা আপনা থেকে ভালো করে দিতে পারে মালিকের মন। আর মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকবেই। গবেষণা বলছে, ৮০ শতাংশ পোষ্যপ্রেমী রাতের বেলাতেই তাঁর সাধের পোষ্যকে সবথেকে বেশি সময় দিতে পারেন।
আরও শুনুন: নেই তেমন কথাবার্তা! নিঃশব্দেই একাকিত্বের মহামারির কবলে ভারতীয় পুরুষরা
তবে পোষ্য কতটা পরিষ্কার থাকছে এক্ষেত্রে সেটা দেখা ভীষণ জরুরী। অনেক সময় বিভিন্ন অ্যালার্জি বা ওইধরনের সমস্যা দেখা যায় কুকুর বা বিড়ালের গায়ে। তা মানুষের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে। একইভাবে, কুকুর বা বিড়ালের লোমে অনেক্সময় ছোট ছোত পোকা থাকে। সেসব পরিষ্কার না করলে সমস্যা আপনারই। এছাড়া, পোষ্যর ভ্যাকসিনেসন ঠিকমতো হয়েছে কি না , সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। কারণ খেলার ছলে পোষ্য কামড়ে দিতেই পারে। সেক্ষেত্রে বিরাট কোনও ক্ষতি হওয়ার থেকে বাঁচাবে এই ভ্যাকসিনেশনই। সাধারণত বেশিরভাগ বাড়িতেই পোষ্যের এতটুকু যত্ন নেওয়াই হয়। কাজেই, এই অবস্থায় সাধের পোষ্যকে নিয়ে এক বিছানায় ঘুমাতে কার্যত কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।