সিনেমা দেখতে বসুন কি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়, চটপট মুখ চালাতে এই খাবারের জুড়ি নেই। পেট ভরবে না বটে, তবে মন ভরে যাবে পুরো মাত্রায়। একটু ভুল বললাম, আসলে যতই খান না কেন, মনও ভরতে চায় না। বলছি আলুর চিপসের কথা। যার কুড়মুড়ে স্বাদের ভাগ হয় না মোটেও। আসুন, আজ বরং শুনে নেওয়া যাক আলুর চিপসেরই গল্প।
আলুর চিপস তৈরির কৃতিত্ব দিতেই হবে আমেরিকানদের। কিন্তু সেটা তো আর একদিনে তৈরি হয়নি। এককালে তো বিষফল মনে করে আলু খাওয়ারই খুব একটা চল ছিল না। আমেরিকা থেকেই ইউরোপে পৌঁছয় আলু, স্প্যানিশদের হাত ধরে। কিন্তু আলু ভাজা ব্যাপারটা যে মুখরোচক হতে পারে, সে কথা প্রথম পৃথিবীকে জানিয়েছিলেন বেলজিয়ামের মানুষরা। তাঁরাই প্রথম আলুর খোসা ছাড়িয়ে ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’ খাবারটা তৈরি করেছিলেন। অর্থাৎ কিনা মোটা মোটা করে আলুভাজা। আজকাল বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁয় আমরা হরবখত যে স্টার্টারের দিকে হাত বাড়াই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলজিয়ামে যেসব মার্কিন সৈন্যদের পোস্টিং পড়েছিল, তাঁরা তো এই মোটা আলুভাজা খেয়ে মুগ্ধ। যেহেতু সেখানকার মানুষ কথা বলেন ফরাসি ভাষায়, মার্কিন সেনারা এই খাবারের নামকরণ করে ফেললেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। আর এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই-ই আদতে আলুর চিপসের জনক।
আরও শুনুন: মাসে আয় ৭৫ হাজার টাকা, আছে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট… দেশের ‘ধনী ভিখারি’র গল্পে অবাক নেটিজেনরা
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কী করে আমেরিকায় পৌঁছে গেল, তার আরও একটা গল্প আছে। তাতে এর বয়স আরও বেশি। সে গল্প অনুযায়ী, ১৮০১ সালে টমাস জেফারসন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তাঁর রান্নাঘরের দায়িত্ব পান অঁরি জুলিয়েন নামের এক ফরাসি শেফ। ফরাসিরা এমনিই রান্নায় ওস্তাদ। এই রাঁধুনির বানানো মোটাসোটা আলুভাজা খেয়ে প্রেসিডেন্ট তো একেবারে মুগ্ধ। তিনিই নাকি এর নাম রাখেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
আরও শুনুন: গান্ধারীর অভিশাপেই অশান্ত আফগানিস্তান! মহাভারত কিন্তু বলছে অন্য কথা…
তা সেনাদের মাধ্যমেই আসুক কি খোদ প্রেসিডেন্টের হাত ধরে, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমেরিকায় এসে জাঁকিয়ে বসেছিল। প্রথম গোলটা পাকালেন নিউইয়র্কের মুন লেক লজ রেস্তোরাঁর এক খাদ্যরসিক অতিথি। আলুগুলোর স্থূলত্ব তাঁর বিল্কুল না-পসন্দ। এককথায় অর্ডার ক্যান্সেল করে দিলেন তিনি। স্বভাবতই, রেস্তোরাঁর হেড শেফ জর্জ ক্রাম ভারী চটে গেলেন। তিনি আরও পাতলা করে আলু কেটে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পরিবেশন করলেন আবার।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।