কীভাবে প্রেম করতে হয়, সেটাই দায়িত্ব নিয়ে শিখিয়ে দেন মহিলা। শুধু প্রেম বললে ভুল হবে, কপালে যেন বড়লোক প্রেমিক জোটে সে ব্যবস্থাও করেন এই মহিলাই। তাঁর কথা মেনে চললে, ওই বড়লোক প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে হবে। আর এই প্রেম করার ফন্দি শিখিয়েই বছরে কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন মহিলা।
কিন্তু প্রেম করা আদৌ শেখানো যায়?
চিনের এই মহিলার দাবি করছেন অবশ্যই যায়। প্রেম কিভাবে টিকিয়ে রাখতে হবে সে পাঠও দেন মহিলা। অবশ্য শর্ত একটাই, প্রেমিক হতে হবে রীতিমতো বড়লোক। মহিলার দাবি বড়লোক পাত্রকে বিয়ে করলে সারাজীবন কোনও চিন্তা থাকবে না। জীবনযাপনের ধরনটাই বদলে যাবে। তাই বিয়ের আগে বুঝেশুনে হিসাব করে প্রেম করাই বুদ্ধিমানের কাজ। চিনের এই মহিলা পেশায় একজন ইনফ্লুয়েন্সর। ডিজিটাল যুগে তাঁর মতো সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সরের কমতি নেই। কীভাবে খাবেন, কোন জামা পরবেন, কোথায় ঘুরতে যাবেন, সবকিছুতেই গাইড করেন এই ইনফ্লুয়েন্সররা। এঁরা মনে করেন, সব বিষয়ে সবার অভিজ্ঞতা থাকে না। কিন্তু নিজ দায়িত্বে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এঁরা। তাই এবার পালা অন্যদের শেখানোর। সাধারণত বিনামূল্যেই নিজেদের জ্ঞান অন্যদের বিতরণ করে থাকেন এই ধরনের ইনফ্লুয়েন্সররা। কেউ শিখিয়ে দেন কীভাবে রান্না করতে হয়, কেউ আবার কোন রোগের কী ওষুধ খেতে হবে সেটাও বলে দেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। এইসব জ্ঞান কোনও প্রকৃত জ্ঞানীর চোখে পড়লেইল গোল বাঁধে। কারণ সোশাল মিডিয়ার সুবাদে এঁরা যা খুশি বলে দেন ঠিকই, সব কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারেন না। সবাই অবশ্যই একরকম নন। কোনও কোনও ইনফ্লুয়েন্সর রীতিমতো পড়াশোনা করেই কোনও বিষয়ে পরামর্শ দেন। তাঁদের কথা মেনে উপকারও পেয়েছেন অনেকেই। তবে সে তালিকায় চিনের এই ইনফ্লুয়েন্সর পড়েন না। কারণ তাঁর দেওয়া ফন্দীতে এমন কিছু কাজের কথা বলা থাকে, যা মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। পাশাপাশি এই অভিযোগও ওঠে, এই মহিলা জোর করে নিজের কথা শুনতে বাধ্য করেন অন্যদের।
কিন্তু তাতে কি! অভিযোগ আপত্তি যাই থাকুক, বাস্তবে এমনটা করেই কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন চিনের কিউ কিউ। স্রেফ প্রেম করার ফন্দি বিলি করেই বছরে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় বিনামূল্যে জ্ঞান বিতরণ নয়, রীতিমতো পয়সা নিয়েই প্রেম করার পদ্ধতি শেখান কিউ কিউ। বিভিন্ন দামের প্যাকেজ রয়েছে। কেউ টানা একমাস শিখতে চাইলে যা খরচ হবে, গোটা একটা বছর শিখলে অবশ্যই গুনতে হবে বেশি টাকা। মহিলার দাবি, তাঁর পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যেই অনেকে বড়লোক প্রেমিক জুটিয়েছেন। একইভাবে বড়লোক বাড়ির ছেলেকেও পাত্র হিসেবে পেয়েছেন তাঁর শিষ্যরা। আসলে, কিউ কিউ মনে করেন বিয়ে হল বড়লোক হওয়ার সামাজিক পদ্ধতি। অবশ্যই মহিলাদের জন্য। তাই বড়লোক ছেলে বিয়ে না করলে কোনও লাভ নেই বলেই দাবি চীনা ইনফ্লুয়েন্সরের। যদিও তাঁর এই যুক্তি কোনওভাবেই সমর্থন করেননি নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। কেউ কেউ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁর কাজ কর্মের। তবে সেসব পাত্তা না দিয়েই নিজের মেজাজে কোটি কোটি টাকা রোজগার করে চলেছেন চিনের এই ‘লাভ গুরু’।