মশা মারতে কামান দাগা! এ প্রবাদ সকলের পরিচিত। তবে এখানে কামান নয়, তাক করা হচ্ছে স্যাটেলাইট। এভাবেই খোঁজা হবে মশার লার্ভা। তারপর সমূলে ধ্বংস হবে পতঙ্গবাহিনী। কারা করছে এই ব্যবস্থা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ছোটখাটো দেখতে। তবু মশাকে তাচ্ছিল্য করার কারণ নেই। ইতিহাস বলে, ভারতে ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকে ম্যালেরিয়ার ভয়ে বিদেশিদের মধ্যে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছিল। সেই ছবি এখনও তেমন বদলায়নি। মশাবাহিত রোগের প্রকোপে এখনও প্রাণ হারান অনেকে। তাই প্রশাসনের তরফে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হয় সমূলে মশা ধ্বংস করার।
মশার কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। এক ব্যক্তিকে কোমায় পর্যন্ত পাঠিয়েছিল এই মশা। কামড় থেকে বাঁচার উপায় হাজার একটা রয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে মশা ধ্বংস করে ফেলার কোনও উপায় এখনও আবিষ্কার হয়নি বললেই চলে। চেষ্টার খামতি নেই বিজ্ঞানীদের। আবিষ্কার হয়েছে একাধিক কীটনাশক। সবেতেই মশা মরবে। কিন্তু তার প্রয়োগে ক্ষতি হতে পারে পরিবেশের। তাই সেই উপায় যে সম্পূর্ণ সঠিক তা হলফ করে বলেন না কোনও বিজ্ঞানীই। বরং বুঝে শুনে কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শই দেন তাঁরা। আবার বাজারে যে মশা মারার তেল বা ধুপ পাওয়া যায়, তাও শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই সেসব ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে উপায়? মশারি এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উপায় হতেই পারে। কিন্তু সে নিয়েও সবসময় ঘোরা সম্ভব নয়। কাজেই মশাকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
এবার ধংস করতে গেলে সবার আগে খুঁজে পেতে হবে। এতটাই ছোট যে খালি চোখে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার ওপর বিজ্ঞানীদের দাবি, লার্ভা অবস্থায় মেরে ফেলতে হবে মশাকে। সেক্ষেত্রে খালি চোখে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব বলা যায়। তাই কাজে নামানো হচ্ছে স্যাটেলাইট। কলকাতার এক সংস্থা, যারা মূলত মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কাজ করে, তাঁরাই এমন যন্ত্র গড়েছেন। মনে করা হচ্ছে, এই যন্ত্র বিভিন্ন জলাশয় বা ওই ধরনের জায়গা থেকে মশার লার্ভা খুঁজে বার করবে। সেইমতো ওই অংশে কীটনাশক প্রয়োগ করে ধ্বংস করা হবে মশার লার্ভা। তাতে সবটা না হলেও, কিছুটা সুরাহা হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। আসলে, কয়েকমাস পরই বর্ষা শুরু হবে দেশজুড়ে। সেক্ষেত্রে জমা জলে মশা বাড়বাড়ন্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই আগেভাগে মশা ধ্বংসের প্রস্তুতি সারতে চাইছে ওই সংস্থা।