এককালে হাতের সামনে খুচরো না পেয়ে বিরক্ত হত মানুষ। আর আজকাল খুচরো দেখলে বা দিলে বিরক্ত হয়ে ওঠে মানুষ। জীবন বদলে যায়। বদলে যায় যাপনের ছবিগুলো। তবু সেই বদলের ওলটপালটের ভিতরও ফিরে আসে পুরনো সেই দিনের কথা। খুচরো পয়সার সূত্রে জীবনের সেই ফেলে আসা দিনগুলোকেই আরও একবার ছুঁতে চাইলেন নেটিজেনরা। কিন্তু কেন ফিরল খুচরোর স্মৃতি? আসুন শুনে নিই।
‘পকেটমানি’ শব্দটার সঙ্গেই তখন পরিচয় ছিল না কারোর। হাতখরচ তো অনেক বড় ব্যাপার। বড়জোর মায়ের কাছে কিংবা বাড়ির বড়দের কাছে নাছোড় বায়নায় হাতে পাওয়া দু-একটা খুচরো। তাতেই যেন রাজ্যজয়ের আনন্দ। কী বা পাওয়া যেত তাতে! বড়জোর একটা বিস্কুট কি লজেন্স, খুব বেশি হলে চ্যুইংগাম। তবু সেই সব ছোট্ট ছোট্ট পাওনার ভিতরেই যে আনন্দ ছিল তার তুলনা যেন আর কিছুতেই নেই। জীবন চলে যায় কুড়ি কুড়ি বছরের পার। এখনকার ছোটদের হাতে অর্থের অভাব নেই। আর যারা ছোট থেকে বড় হয়ে গিয়েছে, তারা হয়তো যে কোনও জিনিসই কিনে ফেলতে পারে। তবু পুরনো দিনের সেই খুচরো হাতে পাওয়ার ভিতর যে বিস্ময়কর আনন্দ, তা বহু অর্থ খরচ করার সাধ্যেও মেলে না। সম্প্রতি এই নস্ট্যালজিয়ারই পানসি ভাসালেন নেটিজেনরা। তবে এমনি এমনি নয়, কারণ আছে।
আরও শুনুন: ভিক্ষা করে জমিয়েছিলেন ৫০ লক্ষ টাকা, ত্রাণ তহবিলে সর্বস্ব দান বৃদ্ধের
সম্প্রতি আইএএস অফিসার অবনীশ শারণ ট্যুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেন। ২ পয়সা, ৩, ৫ এবং ১০ পয়সা, ২৫ আর ৫০ পয়সার ছবি ছিল কোলাজে। ছবি পোস্ট করে স্মৃতি উসকে দিয়ে তিনি লেখেন, এই সব খুচরো দিয়ে কেউ কি কোনোদিন কিছু কিনেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই স্মৃতির সরণি ধরে অতীতে ফিরে গিয়েছেন নেটিজেনরা। একে একে যা উঠে এল তা যেন চাপা পড়া ইতিহাসই। কেউ বলছেন ২৫ আর ৫০ পয়সা দিয়ে লজেন্স-চকোলেট পাওয়া যেত। কেউ বলছেন ২০ পয়সায় চ্যুইংগাম কেনা ছিল বেজায় আনন্দের দিন। যাঁরা একটু প্রবীণ তাঁরা জানিয়েছেন, ২ পয়সা এবং ৫ পয়সাও ব্যবহার করেছেন তাঁরা। যে যাই-ই কিনুন না কেন, সকলেই একমত যে, সেই দিনকাল ছিল বড় আনন্দের। অনেকখানি তৃপ্তির। হ্যাঁ, এখনকার ছোটদের মতো হয়তো অনেক কিছু হাতে পাওয়া যেত না। তবু ওই যতটুকু পাওয়া যেত তাতেই আনন্দের আলোয় ভরে যেত পৃথিবী। খুচরোর সেই দিনকাল আজ অতীত। তবু এই সূত্রেই সুখস্মৃতিতে পানসি ভাসালেন নেটিজেনরা।
इनमें से किस सिक्के से आपने कुछ ख़रीदा है ? pic.twitter.com/bCLkOCo0D3
— Awanish Sharan (@AwanishSharan) February 25, 2023