ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল আসে। এদিকে পেট খারাপের ভয়ে খাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু ফুচকা খেলে পেটের রোগ সারে এমনটা শুনেছেন? এই দোকানে মেলে এমনই ঔষধি ফুচকা! আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ফুচকা ভালবাসেন না, এমন মানুষ এ বাংলায় বিরল। অবশ্য বাঙালি কেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এর কদর কম নয়। বিদেশেও খুঁজে পেতে ফুচকার দেখা মিলতে পারে। সমস্যা একটাই বেশি খেলে পেট খারাপ অনিবার্য। তাই ইচ্ছা থাকলেও ফুচকা এড়িয়ে চলতে বাধ্য হন অনেকেই। কিন্তু ফুচকাই যদি হয় পেট খারাপের মহৌষধ! ব্যাপারটা মন্দ হয় না বলুন?
সম্প্রতি এমনই এক ফুচকা চর্চায় এসেছে। যা খেলে শরীর খারাপের বদলে ভালো হবে। আসলে এই ফুচকায় এমনই কিছু পথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে যা আদতে শরীরের জন্য ভালো। এমনিতে রান্নায় যেসব মশলা ব্যবহার করা হয় তার ভেষজ গুণ রয়েছেই। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে পরিমান মতো খেতে হবে। হলুদের কথাই ধরা যাক। গলা ব্যথা কিংবা কোনও ইনফেকশন ঠিক করতে অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে হলুদ। আবার হজমের সমস্যা মেটাতে পারে জিরে। একইভাবে আদা, রসুন সবেরই রয়েছে বিশেষ খাদ্যগুণ। সুতরাং ফুচকার মধ্যেও যদি এসব ভরা থাকে থাকলে শরীর সুস্থ হতেই পারে।
ফুচকার এই দোকান কর্নাটকে। সেখনকার গোকর্ণ অঞ্চলের যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই এই দোকানের হদিশ মিলবে। মোট ৬ রকমের ফুচকা এখানে পাওয়া যায়। সবই ভিতরে থাকা পুরের রকমফের। সেইসঙ্গে থাকে ঘরে তৈরি বিশেষ ফুচকার জল। তাতেও মেশানো থাকে নানা ঔষধি ভেষজ। যার মধ্যে জিরে, ধনে, রসুন, আদা, গুড়, গোলমরিচ, এমনকি নিমপাতাও পরিমান মতো মেশানো থাকে। ৬ ধরনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ এক হজম পাচক ফুচকা। পেট খারাপ হলে এই ফুচকাই ওষুদের মতো কাজ করতে পারে। এদিকে স্বাদে কোনও খামতি নেই। একবারে সাধারণ ফুচকার মতোই খেতে হয় এই ফুচকা। চমকের এখানেই শেষ নয়। এই ফুচকার দামও একেবারেই সাধারণ ফুচকার মতো। তাই দোকানের বাইরে রোজই মেলার মতো ভিড় লেগে থাকে। কিছুদিন আগে দোকানের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়। অনেকেই অবাক হন এমন ফুচকার কথা শুনে। দোকানের মালিকের কথায়, এই ফুচকা বেচেই প্রতিদিন দু থেকে আড়াই হাজার টাকা রোজগার হয় তাঁর। তাই রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দোকান খোলেন তিনি। সঙ্গে আরও অনেকে রয়েছে সাহায্য করার। তবে কাজও নেহাতই কম নয়। যেহেতু শরীর খারাপ হবে না, এই গ্যারান্টি দেওয়া হয়, তাই কোনও বাসি জিনিস এখানে রাখা হয় না। রোজই যেটুকু তৈরি হয়, বিক্রি হয়ে যায়। কাজেই পরেরদিন নতুন করে সবটা শুরু করতে হয়। আর এভাবেই রমরমিয়ে চলছে ঔষধি ফুচকার ওই দোকান। তাহলে, পেট খারাপেও যদি ফুচকা খাওয়ার মন হয়, তাহলে এই দোকান নিশ্চিন্ত ঠিকানা হতেই পারে!