জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে, যে নাকি একবার চলে যায়, সে আর ফিরে আসে না। এটাই জগতের নিয়ম। তবু সেখানেও ঘটে কিছু আশ্চর্য ঘটনা। আর তাই প্রায় ৪৫ মিনিট মৃত হয়ে থাকার পরেও জীবনের আলো খুঁজে পেলেন এক মহিলা। আশ্চর্য হলেও, একেবারে সত্যি এই ঘটনা।
জীবন নাকি নদীর প্রবাহের মতো। একবার যা চলে যায়, তা আর ফিরে আসে না। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মেরও যেন ব্যতিক্রম ঘটে। সেরকমই এক ঘটনা ঘটল ক্যাথি প্যাটেন নামে এক মহিলার ক্ষেত্রে।
আরও শুনুন: ঘাম-অশ্রু-রক্ত-মূত্র উপকরণ, এই দিয়েই মহাকাশে ইমারত গড়বে মানুষ?
ভদ্রমহিলার বাস বাল্টিমোরে। গলফ কোর্সে ব্যস্ত ছিলেন মহিলা। আচমকাই খবর পান, তাঁর সন্তানসম্ভবা মেয়েকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি সেই হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। কিন্তু মেয়ের খোঁজখবর নিয়ে তাকে সুস্থ করে তুলবেন কী! নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। চিকিৎসকরা বুঝলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ক্যাথি। তাঁর পালস খুঁজে পেলেন না চিকিৎসকরা। এবার শুরু হল আর এক লড়াই। ক্যাথিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট একরকম জীবনের সঙ্গে সংযোগই হারিয়ে ফেলেছিলেন ক্যাথি। টানা সিপিআর(CPR) চলছে, তবু ক্যাথির শরীরে জীবনের লক্ষণ ফেরার কোনও চিহ্ন ছিল না।
আরও শুনুন: চিতা বাঘকে দুধ খাওয়ান মন্দিরের পুরোহিত, অদ্ভুত এই গ্রামের গল্প জানেন?
এদিকে যখন এই লড়াই চলছে, অন্যদিকে তখন ক্যাথির মেয়ের সি-সেকশন হচ্ছে। সেখান পৃথিবীর আলো দেখতে চলেছে নতুন একটি প্রাণ। কিন্তু যে প্রাণ প্রায় চলে যেতে বসেছে, তা কি আর ফিরবে! হাল ছাড়েননি ডাক্তারবাবুরা। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় অবশেষে সাফল্য আসে। ক্রমশ আবার জীবনে ফিরে আসতে থাকেন ক্যাথি। চিকিৎসার পরিভাষায় এ যেন ক্লিনিক্যালি ডেড অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা। সহজ করে বলতে গেলে, প্রায় মিনিট ৪৫ মরণের পারেই যেন চলে গিয়েছিলেন ক্যাথি। সেখান থেকে ফিরে এলেন শুধুমাত্র চিকিৎসকদের কল্যাণে। বলা যায়, পুনর্জন্ম হল ক্যাথির।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।