তিনি আইআইটি-র প্রাক্তনী। চাকরিও করতেন নামজাদা বহুজাতিক সংস্থায়। কিন্তু তাঁর বরাবরের ভালোবাসা অঙ্ক কষা বা অঙ্ক শেখানো। আর সেই অঙ্ক শেখানোর টানেই মোটা টাকা মাস মাইনের চাকরি ছেড়েছেন এই ব্যক্তি। হয়ে উঠেছেন সর্বসাধারণের ‘অঙ্ক স্যার’। তাঁর সাধারণ জীবনযাপনের কাহিনিতে বিস্মিত নেটদুনিয়াও। আসুন, শুনে নিই তাঁর কথা।
অঙ্ক কষতে বড় ভালোবাসেন তিনি। অঙ্ক শেখাতেও ভীষণ পছন্দ করেন। অঙ্ক নিয়ে সময় কাটানোর জন্য ছেড়েছেন মোটা বেতনের চাকরিও। এমন অঙ্ক-পাগল মানুষের, অতি সাধারণ জীবনযাপনের গল্পই এখন হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়ার চর্চার বিষয়।
আরও শুনুন: ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক কি বৈধ? পরীক্ষায় প্রশ্ন পাকিস্তানে, বরখাস্ত অধ্যাপক
কথা হচ্ছে ‘শ্রবণ স্যার’ নামে খ্যাত এক ইউটিবারকে নিয়ে। মুখে কাঁচাপাকা দাড়ি। মাথায় টুপি। পরনে নেহাতই সাধারণ পোশাক। সম্প্রতি, তাঁর এমনই একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ছবিতে তাঁকে যতই সাধারণ দেখাক, বাস্তবে তিনি একজন ‘জিনিয়াস’। বলা ভালো ‘অঙ্কের জিনিয়াস’। রাহুল রাজ নামে জনৈক নেটিজেন সম্প্রতি এই ছবি পোস্ট করে তাঁকে এই নামেই সম্বোধন করেছেন। রাহুল জানিয়েছেন, শ্রবণ তাঁর স্কুল জীবনের বন্ধু। ছোটবেলা থেকেই নাকি তিনি অঙ্ক-পাগল। গ্রাজুয়েশন করেছেন দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি থেকে। তারপর যুক্ত হয়েছিলেন বহুজাতিক সংস্থায়। মোটা টাকা মাইনেও পেতেন সেখানে। কিন্তু এমন জীবন মোটেও পছন্দ ছিল না শ্রবণের। তাই সব ছেড়ে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। আর সেই ভারচুয়াল ক্লাসরুমেই দেশ-বিদেশের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীদের অঙ্ক শেখান তিনি। বন্ধু রাহুলের মতে, তিনি নাকি কখনও সাধুর মতো জীবন কাটান, আবার কখনও যাযাবরের মতো এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ান। তাঁর জীবনের কোনও নির্দিষ্ট রুটিন নেই বললেই চলে। একেবারেই খামখেয়ালি ভাবে দিন কাটে তাঁর। তবে যাই করুন না কেন, অঙ্ক শেখানোয় মোটেও খামতি নেই তাঁর। রাহুলের মতে, বড় বড় কোচিং সেন্টার যা করতে পারে না, শ্রবণ সে-কাজ অনায়াসে করতে পারেন। আর ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের এই নেটদুনিয়ার ‘অঙ্ক স্যার’কে বেশ পছন্দও করেন।
আরও শুনুন: চিপস খেয়ে ফেলে দিয়েছেন প্যাকেট! তা কুড়িয়েই সানগ্লাস বানিয়ে তাক লাগাচ্ছে সংস্থা
এমন জিনিয়াসের কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশংসার বন্যা নেটদুনিয়ায়। অনেকেই তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে আবার পরামর্শ দিয়েছেন, শ্রবণ যেন বিখ্যাত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও এই অনলাইনে পড়ানোর দরুন, এখন যে কেউ তাঁর থেকে শেখার সুযোগ পাচ্ছে। তাই অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন বহু মানুষ। সব মিলিয়ে, প্যাশনের টানে বিলাসবহুল জীবনযাপনকে এত সহজে না বলতে পারা শ্রবণকে দেখে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।