আস্তে আস্তে হাওয়ার বদল টের পাচ্ছেন তো? এবছরের মতো ছুটি নিতে চলেছে শীত। শীতের গরম পোশাক, লেপ কম্বল সব ফের এক বছরের জন্য বাক্সবন্দি করার পালা। কিন্তু জানেন কি, কীভাবে গুছিয়ে রাখা যেতে পারে এই জিনিসগুলি, যাতে তা নষ্ট না হয়? আসুন, শুনে নেওয়া যাক কিছু চটজলদি টিপস।
বেশি ব্যবহারের মতো কম ব্যবহারেও যে জামাকাপড় নষ্ট হয়, জানেন তো? আর কম ব্যবহার করা পোশাকআশাকের তালিকায় প্রথমেই নাম থাকবে শীতের সোয়েটার চাদরের। আমাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বছরের দু-তিন মাস বাদে বাকি সময়টা বাক্সবন্দি হয়েই থাকে তারা। আর সেইজন্যই এই জিনিসগুলি ভালভাবে রাখা খুব জরুরি।
আরও শুনুন: সকালের চায়ে ভাসছে গোলাপের পাপড়ি… কী করে বানাবেন নানা স্বাদ-বর্ণের ভেষজ চা?
শরীরের ঘাম-ময়লা-পারফিউম অজান্তেই পোশাকে লেগে থাকে। ফলে শীতের পোশাক ফের আলমারিতে ঢোকানোর আগে অবশ্যই ধুয়ে নিন। কোথাও দাগ লাগলে সেই অংশটুকু অল্প ঘষে পরিষ্কার করে নিন। ব্রাশ ব্যবহার করলে পোশাক নষ্ট হতে পারে। এই জাতীয় পোশাক ধোয়ার সময় সাবান কিংবা কড়া ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ ধরনের লিকুইড ডিটারজেন্ট, নিদেনপক্ষে বেবি শ্যাম্পু। উল রঙিন হলে, ধোয়ার সময়ে জলে অল্প ভিনিগার দিতে পারেন। আর সাদা রঙের ক্ষেত্রে জলে যোগ করে নিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। এর ফলে পোশাকের রং পরিবর্তন হবে না। তবে সোয়েটার কাচার সময় গরম জল কিন্তু নৈব নৈব চ। এই জিনিসগুলি বেশিক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখবেন না, আবার ধোয়ার পর জোর দিয়ে নিংড়ে জল বের করারও প্রয়োজন নেই। দুভাবেই কিন্তু পোশাকের ক্ষতি হতে পারে। জিনিসগুলি ভারী বলে শুকোতে বেশি সময় লাগবে। কিন্তু কড়া রোদে শুকোবেন না, তাতে রং নষ্ট হতে পারে। দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার বদলে সমতল জায়গায় বিছিয়ে শুকোতে দিলে পোশাকের আকার আকৃতিও ঠিক থাকে। সোয়েটার আলমারিতে তুলে রাখার সময়েও ঝুলিয়ে রাখবেন না, ভাঁজ করে রাখুন। এক-একটি পোশাকের মাঝে টিস্যু পেপার দিয়ে দিন, কিংবা আলাদা আলাদা ব্যাগেও রাখতে পারেন।
আরও শুনুন: কাপড় থেকে লিপস্টিকের জেদি দাগ তুলবেন কীভাবে? মাথায় রাখুন এই উপায়গুলি
উলের পোশাক কেচে পরিষ্কার করলেও, লেদারের জ্যাকেট কিংবা অন্যরকম উপাদান দিয়ে তৈরি সোয়েটারের ক্ষেত্রে সে কথা ভুলেও ভাববেন না। ড্রাই ওয়াশ করে তুলে রাখুন সেই জিনিসগুলি।
শুনে নিন বাকি অংশ।