শঙ্খ ঘোষের জনপ্রিয় কবিতার লাইন ছিল, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। এখন আমাদের অবস্থা, মুখ ঢেকে যায় মাস্কে। হঠাৎই রাস্তা, ব্যস্ত অঞ্চলে, গণপরিবহনে চেনা লোক অচেনা হয়ে যাচ্ছে মাস্কের কল্যাণে। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ চেনার উপায় কী! শুনে নিই সেই কথা।
বেশ কেয়ারি করে বাড়িয়েছেন দাড়ির বাহার, বা মেজাজি গোঁফ। আবার মেয়েরা হয়তো চমৎকার শেডের লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়েছেন। কিন্তু ঢাকা মাস্কের মুখে সে-সব দেখানোর উপায় নেই। চেনা মুখকেও যেন ধাঁধার মতোই লাগছে। সবচেয়ে অসুবিধে হচ্ছে বয়স্কদের। তাঁরা অনেকেরই নাম ভুলে যান। অনেকেরই মুখ মনে থাকে, কিন্তু নাম মনে থাকে না। অমুকের ছেলে, তমুকের ভাই, ওঁর নাতি বলে তাঁরা মুখ মনে রাখতেন। এখন মুখই নেই, মনে রাখবেন কী করে!
আরও শুনুন: Body dysmorphia: নিজের চেহারা নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাব কী অসুখ জেনে রাখুন
আচ্ছা, এক জীবনে মানুষ কত মুখ মনে রাখতে পারে? উত্তর হাতড়াচ্ছেন তো! সংখ্যাটা কিন্তু নেহাত কম নয়। গবেষণা বলছে, একজন মানুষ সাধারণত গড় জীবনকালে মনে রাখতে পারেন, পাঁচ হাজার মুখ। সেই তালিকায় নানা বয়সের বন্ধু, স্থানীয় দোকান, বাসের কন্ডাক্টর, অটোচালক, আত্মীয় পরিজন সবাই-ই থাকেন। অনেকেই আবার এক মুখ দেখে, অন্য চেনা মুখের সঙ্গে খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন যোগসূত্র। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নাম মনে রাখতে না পারলেও, মুখ দেখে চেনার চিন্তাসূত্র গুলো দিব্যি বের করে ফেলতে পারি। কিন্তু মাস্ক ঢেকে রাখা আমাদের সবই গোলমাল করে তুলছে।
আরও শুনুন: কোনও স্মৃতিই ভুলতে দেয় না Internet, কী সমস্যা হতে পারে এতে?
কিন্তু এই ক্ষেত্রে সমাধান, চোখ, এবং চোখের ভাষা। প্রেয়সীর চোখ নিয়ে তো গানের শেষ নেই। বাংলা হিন্দি মিলিয়ে অন্তত দশ বিশটা গান এখুনি বলে দেওয়া যায়। আপাতত একটা গানের শরণ নিতে হবে, শুভা মুদ্গলের গাওয়া, ‘শিখো না নয়নো কি ভাষা পিয়া’। অথবা শেক্সপিয়র বলেছিলেন, ‘চোখই হল আত্মার জানলা’। জানলা বা আত্মার কথা থাক, মোদ্দা কথাটি হল, চোখ দেখেই ইদানিং মানুষ চিনতে হচ্ছে এবং আগামী অন্তত বেশ কিছুদিন সেই অভ্যাসই জারি রাখতে হবে।
বাকি অংশ শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।