অফিস যেতে হবে না। কোনও কাজও করতে হবে না। ঘরে বসেই কাটানো যাবে সময়। তবু মাইনে পাবেন মোটা টাকা। শুধু মানতে হবে একটা শর্ত। ঠিক কী করতে হবে?
কাজ না করে টাকা পাওয়ার কথা শুনেছেন? সম্প্রতি এক সংস্থা এমনই সুযোগের কথা ঘোষণা করেছে। শুধু মানতে হবে একটা শর্ত। তাতেই মোটা টাকা দেবে সংস্থা। এমনও নয় যে এই সুযোগ পেতে গেলে বিশেষ কোনও পরীক্ষা দিতে হবে। তাহলে, ঠিক কী করার কথা বলেছে ওই সংস্থা?
আরও শুনুন: চাকা নেই তবু দিব্য চলছে গাড়ি, কোন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে জানেন?
খুলেই বলি। এই সুযোগ দিচ্ছে আমেরিকার এক সংস্থা। এমনিতে সে দেশের মানুষজন কাজের ব্যাপারে বেশ সচেতন। মানে কেউই তেমন ঘরে বসে থাকেন না। নিজেদের সামর্থ মতো কাজ করেন, তার বিনিময়ে মাইনে পান। অথচ সেখানকার এক সংস্থাই বলছে কাজ না করে মাইনে দেওয়া কথা। কারণ এর জন্য ওই সংস্থা যে শর্ত চাপিয়েছে তা মানা মোটেও সহজ নয় অনেকের ক্ষেত্রেই। সংস্থার দাবি, বিনা পরিশ্রমে টাকা রোজগার করতে হলে মোবাইল ছাড়া দিন কাটাতে হবে। তাও এক-দুদিন নয়, টানা একমাস মোবাইলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যাবে না। এমনটা যে করতে পারবে, তাঁকেই মাসের শেষে দেওয়া হবে মোটা অঙ্কের টাকা। ভারতীয় হিসেবে যার পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকারও বেশি। এ দেশে এই টাকা রোজগার করতে অনেকেরই এক বছর লেগে যায়। অথচ আমেরিকার ওই সংস্থা কোনও কাজ না করিয়েই এই টাকা দিতে রাজি।
আরও শুনুন: চাঁদের মাটিতে আছে সমাধিও! কার শেষ ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল জানেন?
আসলে, এ হল এক বিশেষ সামাজিক পরীক্ষা। সংস্থার দাবি, বর্তমানে প্রায় সকলেই মোবাইলের প্রতি ভীষণ আসক্ত। আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বের যে কোনও প্রানে এই প্রবণতা চোখে পড়ে। তার থেকেই ওই সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নেয়, এমন বিশেষ চ্যালেঞ্জ রাখার। নাম দেওয়া হয়, ‘ডিজিটাল ডিটক্স চ্যালেঞ্জ। টাকার লোভে অনেকেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে সংস্থার বিশ্বাস। কিছুদিন আগে, মদ না খাওয়া নিয়েও খানিকটা এমনই প্রতিযোগতার ব্যবস্থা করেছিল ওই সংস্থা। সেখানেও একমাস মদ না খেয়ে কাটানোর শর্ত ছিল। এবার সেই একই পদ্ধতিতে মোবাইল ছাড়া সময় কাটানোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছে আমেরিকান সংস্থা। বিশেষ কিছু নিয়মও রয়েছে। যেমন এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়া সকলকে এই সময়টার জন্য একটা সাধারণ মোবাইল দেওয়া হবে। সেখানে প্রিপেইড সিমকার্ড থাকবে। আর শুধুমাত্র ফোন করা ছাড়া আর কিছুই করার সুবিধা থাকবে না। তাই বলে, সারাদিন ফোনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেও সময় কাটানোর সুযোগ মিলবে না। কারণ প্রয়োজন ছাড়া বা বিপদে না পড়লে এই ফোনও হাতে নেওয়া যাবে না। নিয়মিত নজরদারি চলবে। অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে বয়সের বাধাও তেমন নেই। ১৮ পেরোলেই যে কেউ নিতে পারবে এই চ্যালেঞ। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে প্রতিযোগিতা। তাই শেষমেশ কতজন এই চ্যালেঞ্জ নেয় তা দেখার জন্য অপেক্ষায় আমেরিকার ওই সংস্থা।