মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজার আগুন। সংসার চালাতে হিমশিম মানুষ। দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীরও। বাদ যায়নি মুরগির ডিমও। তাই বলে একটা ডিমের দাম ৪৮ হাজার টাকা! শুনেছেন কখনও। না, সোনা বা প্ল্যাটিনাম দিয়ে তৈরি নয় সেই ডিম। তবে কেন এত দাম এই ডিমের? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাজারে মুরগির ডিম মেলে ৫ থেকে ৭ টাকায়। কখনও কখনও সে ডিমের দাম বেড়ে ১০ টাকাও হতে পারে। তাই বলে একটা ডিম, ৪৮ হাজার টাকা! নিশ্চয়ই ভাবছেন, এমনটা আবার হয় নাকি! একটা ডিম কিনতে কে দেবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা! তবে এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে ব্রিটেনের এক খামারে। যেখানে একটি ডিমের দাম উঠেছে ৪৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আরও শুনুন: দেশপ্রেমের বার্তা দিতে অভিনব উদ্যোগ, চোখের মধ্যে জাতীয় পতাকা আঁকলেন ব্যক্তি
না, সোনাদানা বা দামী কোনও রত্নখচিত ডিম নয় সেটি। পাতি মুরগির ডিম যাকে বলে, সেটি একেবারেই তাই। তবে আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তার আকারে। সাধারণত ডিম মানেই তা হয় ডিম্বাকৃতি আকারের। অর্থাৎ সেটি গোল। কিন্তু ঠিক নিটোল গোল নয়। বরং খানিকটা লম্বাটে গোল বলা যায় তাকে। যে কোনও পাখি বা সরিসৃপের ডিমও সাধারণত ওই আকারেরই হয়। তবে ব্রিটেনের ওয়েস্ট অক্সফোর্ডশায়ারের এই খামারে রয়েছে বিশেষ একটি মুরগি। যে নাকি এক্কেবারে গোল গোল সব ডিম পাড়ে। সেগুলিকে দেখে মার্বেল ভেবে ভুলও করতে পারেন আপনি।
আরও শুনুন: নয়া সংসদ ভবনের জন্য অনুদান দিতে ‘কয়েন যাত্রা’ দলিত সম্প্রদায়ের, মিলল না কেন্দ্রের অনুমতি
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মুগরি প্রতিপালনের কাজ করে আসছেন অ্যানাবেল। তিনিই একদিন আবিষ্কার করেন, তাঁর খামারের একটি মুরগির ডিম একটু অন্য ধরণের। অন্যান্য মুগির ডিমের তুলনায় এগুলি একেবারেই বৃত্তাকার। নিটোল গোল যাকে বলে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জালে আরও কিছুটা পড়াশোনা করেন অ্যানাবেল। এবং সেখানেই তিনি জানতে পারেন, এ ধরনের ডিম নাকি বিরল। লাখে একটা মুরগিতে এমন ডিম পাড়তে পারে। এরপরেই সেই ডিমগুলি বিক্রির জন্য অনলাইন একটি বিপণী সংস্থাতে বিজ্ঞাপন দেন তিনি। সেখানে ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত দাম উঠেছে একটি ডিমের। ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৪৮ হাজার টাকার কাছাকাছি। সোনার ডিমের লোভে পোষা রাজহাসের পেট কেটে ফেলেছিলেন কৃষক। সে গল্প তো ছোটবেলায় সকলেই পড়েছি আমরা। তবে ব্রিটেনের এই মহিলার খামারে যে মুরগিটি রয়েছে, তা সোনার রাজহাসের চেয়ে কিছু কম নয়। এখনও পর্যন্ত অবশ্য একটি ডিমও বিক্রি করে উঠতে পারেননি মহিলা। কোনও ক্রেতা যদি এর চেয়েও বেশি দাম দিতে রাজি হন, তারই অপেক্ষায় দিন গুনছেন অ্যানাবেল।