আলুভাজা খেতে বড্ড ভালবাসেন! অথচ সেই আলুভাজাই খেতে দেননি স্বামী। রাগের চোটে স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। ঘটনার জল গড়ায় আদালত অবধি। সেখানেই সবকিছু শুনে মাথায় হাত বিচারপতির। ঠিক কী রায় মিলল এই মামলায়? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মহিলাদের নিরাপত্তায় এ দেশে একাধিক আইন রয়েছে। বিশেষ করে, কেউ গার্হস্থ হিংসার শিকার হলে, কড়া পদক্ষেপ করে প্রশাসন। সংবিধানের বিশেষ কিছু ধারায় সেইসব শাস্তির খতিয়ান রয়েছে। কিন্তু সঠিক কারণ ছাড়া কেউ যদি হিংসার অভিযোগ তোলেন? সম্প্রতি ঘটেছে ঠিক এমনটাই। এক মহিলার তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো ৪৯৮ এ ধারায় মামলা রুজু হয়। তবে কেন এমন অভিযোগ করেছিলেন মহিলা, তা জানার পর বেজায় অবাক হন বিচারপতি।
:আরও শুনুন:
যার যেটুকু সামর্থ! বন্যাত্রাণে সাহায্য পাঠাতে পিগিব্যাঙ্ক নিয়ে স্কুলে হাজির খুদেরা
ঘটনাটি কর্নাটকের। সেখানকার হাইকোর্টেই এই মামলাটি ওঠে। সাধারণত ৪৯৮ ধারা থাকলেই ধরে নেওয়া হয়, মহিলাকে অত্যাচার কড়া হয়েছে। অভিযোগের আঙুল ওঠে স্বামী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের দিকেই। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অথচ মহিলার দাবি, স্বামী তাঁকে মারধর দূরে থাকে উঁচু গলায় কথা অবধি বলেননি। তাহলে, হিংসার অভিযোগ কীসের ভিত্তিতে? মহিলার কথায়, তাঁর স্বামী সাধের আলুভাজা খেতে দেননি। শুধু তাই নয়, আলুভাজার সঙ্গে ভাত, মাংস এইসবও খেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্বামী সেসব খেতে দেননি। বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁকে এইসব খাবার এনে দেননি। তাতেই রেগেমেগে পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা। একেবারে ৪৯৮ এ-এর মতো ধারায় স্বামীর নামে মামলা দায়ের করেন।
:আরও শুনুন:
ধর্ষককে লজ্জা দাও! কীভাবে শুরু হয়েছিল এই আন্দোলন?
অভিযোগ শুনে অবাক যান বিচারপতিও। এই অভিযোগ নিয়ে যে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে, তা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তিনি। এদিকে মহিলাকে দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি, তিনি মশকরা করছেন। কিন্তু তাতে কি! মহিলার অভিযোগ যে হিংসার ঘটনাকে নির্দেশ করছে না তা বলাই বাহুল্য। আদালতে সে কথা সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি। একইসঙ্গে মহিলার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ যে তদন্ত শুরু করেছিল, তাতেও স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে মহিলার অভিযোগককে তুচ্ছ বলেও দাবি করেন বিচারপতি। পাল্টা মহিলার নামেও অভিযোগ আনেন তাঁর স্বামী। সেসব শুনলেও বিশেষ আমল দেননি বিচারপতি। ঘটনাটি আর যাই হোক, আদালতে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার মতো নয় সেকথাই স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিচারপতি।