যদি মনে করা হয়, ভূত আছে, অন্তত কল্পনাতে হলেও আছে, তবে ভূতেদের হাসি-ও থাকবে। হরেক ভূতের মজার চরিত্র, আলাদা রকম ব্যবহার; সেই অনুযায়ী তো বদলে বদলে যাবে তেনাদের হাসি-ও। কীভাবে হাসতে পারে কোন ভূত, তা জানতেই স্টুডিওতে ডাক পাঠানো হয়েছিল জনাকয় ভূতকে। তারপর যা যা হল… শুনলেই বুঝবেন।
সেই কবে ভূতের রাজার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। আমরা তো দেখেও ফেলেছি ভূতেরা কেমন চমৎকার নাচতে পারে। তা রাজামশাইয়ের সাম্রাজ্য কিন্তু জমজমাট। ভূত থাকুক বা না-ই থাকুক, বাঙালির কল্পনায় হরেক ভূতের আনাগোনা। কতরকমের ভূত, বিচিত্র তাঁদের কর্মকাণ্ড। এত ধরনের ভূত যখন আছে, সেই ভূতেরা হাসবে না, তা-ও আবার হয় নাকি! গল্পকথায় ভূতেদের হাসির উল্লেখ আমরা পেয়েছি বটে, কিন্তু সেভাবে সেই হাসি শুনতে পাইনি।
তাই দিনকয় আগে সংবাদ প্রতিদিন শোনো স্টুডিওতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিশিষ্ট ভূতদের। কলটাইম ছিল মাঝরাত পেরিয়ে। ওইটাই তো তেনাদের আসার আর দিল খুলে হাসার একেবারে ঠিক সময়। তা তেনারা এলেনও বটে। কলটাইম মিস না করে কাঁটায় কাঁটায় রাত একটায় একে একে হাজির হলেন ব্রহ্মদত্যি, মেছো ভূত, শাঁকচুন্নি, চোরাচুন্নি প্রমুখ। একানড়েকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বটে, তবে এক পা নাড়াতে নাড়াতে তিনি আর শেষ পর্যন্ত উপস্থিত হতে পারেননি। পায়ে নাকি বেজায় ব্যথা! সবে রেকর্ডিং শুরু হবে, এমন সময় নিশি এসে স্টুডিওর বাইরে থেকে বার তিনেক ডাকতেই আমাদের রেকর্ডিস্ট সাড়া দিয়ে ফেলেন, আর তারপর কোথায় যেন উধাও হয়ে যান। তা এবার কী হবে? মানুষের কাজকারবার দেখে ভূতেরা তো হেসেই খুন। তারপর তেনারাই দয়াপরবশ হয়ে সব কাজটা সারেন। এই রেকর্ডিং কী করে হয়েছে তার হালহদিশ নেই। তবে পরদিন এসে দেখা গেল, কমপিউটরে দিব্যি রেকর্ড হয়ে আছে ভূতের হাসি। যাকে বলে একেবারে ভূতুড়ে কাণ্ড আর কী!
তাহলে আর দেরী কীসের? কালবিলম্ব না করে বরং শুনে নেওয়া যাক কেমন হাসলেন ভূত বাবাজিরা।