সপ্তাহের জঘন্যতম দিন হল সোমবার। এমনটাই ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’। আর তাঁদের সেই ঘোষণা নেটমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে নেটনাগরিকদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘোষণা কেন করল ওই সংস্থা? আসুন, শুনে নিই।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই সপ্তাহের শুরুর দিন হিসাবে ধরা হয় সোমবারকে। সেই শুরুর দিনটিকেই এবার ‘জঘন্যতম’ দিনের আখ্যা দিল ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’। সংস্থার মতে, সারা সপ্তাহের মধ্যে সবথেকে বাজে দিন হল এই সোমবার-ই।
আরও শুনুন: চলছে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার, অপারেশন টেবিলেই টানা ৯ ঘণ্টা স্যাক্সোফোন বাজালেন রোগী
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেশিরভাগ দপ্তরেই কাজের দিন হিসেবে ধরা হয় সোম থেকে শুক্র। সপ্তাহান্তের শনি ও রবিবারে তাই অধিকাংশ সরকারি দপ্তরের ঝাঁপ বন্ধ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি দপ্তরেও সেই নিয়ম মানা হয়। তাই সারা বিশ্বের চাকুরিজীবীদের কাছেই সোমবার যেন ত্রাসের মতো। টানা দুদিনের ছুটির পর আবার সকালে উঠে অফিস যাওয়া অনেকের কাছেই চরম অনীহার বিষয়। প্রায়শই এই নিয়ে নানান মজার কথা দেখতে পাওয়া যায় নেটমাধ্যমে। কিন্তু গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর এমন ঘোষণা সেইসব কিছুকেই যেন এক ধাক্কায় ছাপিয়ে গিয়েছে।
আরও শুনুন: ‘নরকের দ্বার’ থেকে জীবিত ফেরেনি কোনও প্রাণী, কী রহস্য রয়েছে নেপথ্যে?
বাস্তবে এই আন্তর্জাতিক সংস্থার কাজ হল পৃথিবীর অত্যাশ্চর্য ঘটনাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া। ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ নামে একটি বইয়ে নথিবদ্ধ থাকে বিস্ময়কর ঘটনার বিবরণ। বিশ্বের সবথেকে লম্বা মানুষ কে, কিংবা কার মাথার চুলের দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি- এইরকম অদ্ভুত এবং উদ্ভট প্রায় সবকিছুই লেখা থাকে ওই বইতে। একইসঙ্গে এমন অদ্ভুত কৃতিত্বের দাবিদারদের ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তকমা দিয়ে একটি স্বীকৃতিপত্রও দিয়ে থাকে সংস্থাটি। তবে শুধুমাত্র মানুষ নয়, প্রাকৃতিক বিষয়ের চরমতম অবস্থাগুলির কথাও লেখা থাকে সেই বিশ্বরেকর্ডের বইতে। তবে এবার তাঁদের বইতে, বেশ অভিনব ভাবেই জায়গা পেল সপ্তাহের এই বিশেষ দিনটি। নিজেদের অফিশিয়াল পেজে একটি টুইট করে সোমবারকে সপ্তাহের জঘন্যতম দিনের তকমা দিয়েছে সংস্থাটি। দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্বের বহুসংখ্যক চাকুরীজীবীদের মধ্যে সমীক্ষা করেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত।
আরও শুনুন: কন্ডোম, লিপস্টিক বা চকোলেট, সবই নাকি আমিষ! জানেন কি?
স্বাভাবিক ভাবেই সেই টুইট কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। সারা বিশ্বের মানুষ সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বেশিরভাগই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর এমন সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকে বলেছেন বুধবার দিনটিও নাকি একইভাবে বিরক্তিকর। যদিও সেই প্রসঙ্গে কোনও সম্মতি জানায়নি ওই সংস্থা।