সুসজ্জিত বিয়ের মঞ্চে কফিন নিয়ে ঢুকছেন কয়েকজন। অথচ কারও মুখেই বিষণ্ণতার লেশমাত্র নেই। প্রত্যেকেই হাসতে হাসতে সেই কফিনটি রাখলেন কনের সামনে। ব্যাপার দেখে তাজ্জব উপস্থিত অতিথিরা। কী ঘটেছে ঠিক? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণই তো বর কনে। বিয়ের মণ্ডপে বর আসা মানেই বিয়ের আচার অনুষ্ঠান শুরু। বিয়ের আসরে বরের আসার ব্যাপারটিও দেখার মতোই। কেউ আসেন ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে, তো কেউ আবার আসেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। এক দিনের জন্য তিনিই যেন রাজা। বর এলেই উপস্থিত অতিথি অভ্যাগতরা ছুটে যান বর দেখতে। এই বিয়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বর এসেছে, শুনেই আমন্ত্রিতরা তাঁকে অভ্যর্থনা করতে জড়ো হয়েছিলেন। আর তারপরেই চমক। বরকে দেখে খুশি হওয়া দূরে থাক, রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন উপস্থিত অতিথিরা।
আরও শুনুন: অজ্ঞান না করেই শরীরে চলে ব্লেড, চেপে ধরেন ৪ জন… ‘বন্ধ্যা’ করতে গিয়ে প্রাণসংকট রোগিণীর
কিন্তু কেন? কী হয়েছিল সেখানে? আসছি সে কথাতেই।
আসলে বিয়ের মতো আনন্দানুষ্ঠানে মৃত মানুষের কফিন দেখলে যে কেউ আতঙ্কিত হবেন। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। নির্দিষ্ট সময় মতো এই বিয়েতেও হাজির হয়েছিল বরের গাড়ি। কিন্তু সবাই যখন বরকে দেখার জন্য এগিয়ে আসেন, তখন গাড়ি থেকে একটি কফিন নিয়ে নেমে আসেন কয়েকজন। সকলেই তা দেখে চমকে ওঠেন। কিন্তু কফিন বহনকারীদের মধ্যে কোনওরকম বিষণ্ণতার অভিব্যক্তি ছিল না। তাঁরা সেই কফিনটি নিয়ে কিছুদূর এগিয়ে এক জায়গায় রেখে দেন। এবং তাঁদের এই কার্যকলাপ ভালভাবে ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন আর একজন। এদিকে উপস্থিত অভ্যাগতরা এমন দৃশ্যের কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন। আর তারপরেই তাঁদের আরও ঘাবড়ে দিয়ে কফিনের ঢাকা সরে যায়। দেখা যায় ভেতর থেকে উঠে বসেছেন স্বয়ং বরমশাই।
কিন্তু এমন ঘটনার কারণ কী?
আরও শুনুন: জঙ্গিহানা নয়, প্রেম-পরকীয়া-যৌনতার ছুরির কোপেই খুন বেশি মানুষ! বলছে সমীক্ষা
জানা গেল নিতান্তই মজার ছলে বরের বন্ধুরা তাঁকে কফিনে ভরে বিয়ের আসরে এনেছেন। বিয়ের আসরে যাওয়া নিয়ে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করেছিলেন এঁরা। তাই এমন অদ্ভুত ভাবে বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছেন বর। আর সেই ভিডিও নেটমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নিমেষে ভাইরাল। তবে এহেন ঠাট্টা দেখে কার্যত দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরাও। বিয়ের মতো আনন্দের অনুষ্ঠানে এভাবে মজা করা উচিত নয় বলেই মনে করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।