মন্দিরের অনুদানে বাক্সে সাধ্যমতো অর্থ দান করেই থাকেন ভক্তরা। কিন্তু বিভিন্ন অঙ্কের সেইসব নোটের মধ্যেই এবার একটি চিঠি খুঁজে পেলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। যেখানে ঈশ্বরের কাছে এক তরুণী আরজি জানিয়েছেন, যাতে প্রেমঘটিত বিয়ের সুযোগ আসে তাঁর জীবনে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রণামী বাক্সের মধ্যেই মিলল একটি চিঠি। যে চিঠির প্রাপক খোদ মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। চিঠি লিখেই সরাসরি দেবীকে মনের আরজি জানিয়েছেন এক তরুণী। কী সেই আবেদন? তরুণী জানিয়েছেন, যাতে পারিবারিক বোঝাপড়ার সূত্রে নয়, বরং প্রেমের সূত্রেই বিয়ে করতে পারেন তিনি। সেই হবু স্বামী তথা বর্তমান প্রেমিকের কথাও দেবীকে জানিয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর কাছে প্রেমিককে সুস্থ রাখার প্রার্থনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি চেয়েছেন, পরিবারের সম্মতিতে যেন তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। আর প্রণামীর সঙ্গে সঙ্গে সেই চিঠিটি মন্দিরের সেবায়েতদের হাতে পড়তেই গোল বেধেছে।
আরও শুনুন: ৩০০ পুরুষের সঙ্গে ৩০০ ভঙ্গিতে যৌনতার রেকর্ড! পর্ন তারকার যুগ শেষ বলে দাবি করলেন সেই অভিনেত্রীই
কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?
জানা গিয়েছে, ওড়িশার বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম, সামালেশ্বরী দেবীর মন্দির। প্রতিদিনই মন্দিরে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্তরা। প্রণামী বাক্সে যার যেমন সাধ্য তেমন অনুদানও দিয়ে যান তাঁরা। এমনকি মনের ইচ্ছা পূরণ হলে বড় অঙ্কের টাকার পাশাপাশি কেউ কেউ মানত করা গয়নাগাঁটিও দেবীকে নিবেদন করে যান। কিন্তু সেই প্রণামী বাক্স থেকেই এবার উদ্ধার হয়েছে এমন অভিনব চিঠি। চিঠিটি কে লিখেছে তার নাম উল্লেখ করা না থাকলেও, চিঠি পড়ে সকলের অনুমান, কোনও তরুণীই লিখেছে এই চিঠিটি। দেবীর উদ্দেশে প্রণাম জানিয়ে চিঠির শুরু। অনেক আশা নিয়েই স্বয়ং দেবীর দ্বারস্থ হয়েছে সে, এমনটাই জানিয়েছে পত্রলেখিকা। আর তারপরেই নিজের প্রেমিকের নাম করে উল্লেখ করে নিজের ইচ্ছার কথা লিখেছে সে। তার ইচ্ছা ওই প্রেমিকের সঙ্গেই যেন বিয়ে হয় তার। এমনকি সেই বিয়েতে যেন দুই পরিবারেরই সম্মতি থাকে সেকথাও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
আরও শুনুন: একটি বানান ভুলের ‘অপরাধে’ দলিত ছাত্রকে বেধড়ক মার, কিশোরের মৃত্যুতে বিক্ষোভ যোগীরাজ্যে
এই চিঠি পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে গেলেও মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মাত্র একটি নয়, অনুদান বাক্স থেকে এরকম বেশ কয়েকটি চিঠি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। তামিল, ওড়িয়া, বাংলা সহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা চিঠিগুলিতে নিজেদের মনের ইচ্ছাই জানিয়েছেন ভক্তরা। কোথাও ঋণের বোঝা থেকে মুক্তির প্রার্থনা, আবার কোথাও সন্তানকে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার আর্তি। সব মিলিয়ে এই মন্দিরের অনুদান বাক্স কার্যত পরিণত হয়েছে ভগবানের ডাকবাক্সে, দেখেশুনে এমনটাই বলছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।