বাড়িতে গণেশপুজো করলেই লিমবে পুরস্কার। সম্প্রতি ঠিক এমনটাই ঘোষণা করেছে এক সংস্থা। শুধু মানতে হবে বিশেষ শর্ত। ঠিক কী করলে বাড়ির গণেশপুজোয় পুরস্কার মিলবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বাড়ির গণেশপুজো। ঘরোয়াভাবেই তার আয়োজন হয়েছে। নিমন্ত্রিতের সংখ্যাও সীমিত। অথচ এই পুজো জিতে নিতে পারে সেরার সেরা পুরস্কার। এমনিতে বারোয়ারি পুজোয় এই ধরনের প্রতিযগিতার চল থাকে। প্রতিমা, মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, এইসবের জন্য মেলে বিশেষ পুরস্কার। এবার বাড়ির পুজোতেও মিলবে বিশেষ পুরস্কার।
কেউ তাঁকে বলেন লম্বোদর। কেউ বলেন বিনায়ক। সিদ্ধিদাতা হিসেবেই গণেশের পুজো করেন সকল মানুষ। তাঁর পুজো করা মানেই সকল বিঘ্নের অবসান। আর তাই গণেশ চতুর্থীতে বিঘ্নহর্তা গণেশের আরাধনা চলে দেশ জুড়ে। স্রেফ মন্দির বা মণ্ডপ নয়, বাড়িতেও অনেকেই গণেশ পুজোর ব্যবস্থা করেন। মূলত মহারাষ্ট্র সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন এলাকাই গণেশ আরাধনার জন্য প্রসিদ্ধ। মুম্বই শহরে ১০ দিন ধরে গণেশের আরাধনা চলে। স্রেফ গণেশপুজোর জন্য বিখ্যাত, এমন মণ্ডপ রয়েছে একাধিক। এছাড়া এই শহরে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের বাস। তাঁরাও ঘটা করে গণেশপুজো করেন বাড়িতে। এবার এই সমস্ত পুজোর জন্যই বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছে এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম। শুধু বাড়ির পুজো নয়, আবাসন বা ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানের পুজোতেও মিলতে পারে পুরস্কার। শুধু মানতে হবে বিশেষ শর্ত।
ঠিক কোন শর্তে মিলবে পুরস্কার?
সংস্থার দাবি, পুরস্কার দেওয়া হবে মূর্তির বিচারে। তবে সেটি কেমন দেখতে হচ্ছে সেই নিরিখে নয়। বরং মূর্তিটি কী দিয়ে তৈরি তাতেই ঠিক হবে পুরস্কার। প্রতিযোগিতার নিয়ম, মূর্তি হতে হবে পরিবেশবান্ধব। অর্থাৎ মূর্তি নির্মানে এমন কিছু ব্যবহার করা যাবে না যা পরিবেশের ক্ষতি করে। এমনিতে মূর্তি মাটি দিয়েই তৈরি হয়। কিন্তু তা সাজানোর জন্য এমন অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশ দূষণের কারন। যেমন, ক্ষতিকারক ক্যেলিকাল যুক্ত রং, থার্মোকলের সামগ্রী, কিংবা অন্য কিছু যা মূর্তিতে যোগ করায় তার সৌন্দর্য বেড়েছে। কিন্তু এই মূর্তি বিসর্জন দিলে জলদূষণ হতে বাধ্য।। অনেকে আবার মাটির বদলে প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থের তৈরি মূর্তি ব্যবহার করেন। এই মূর্তি রেখে দিলে সমস্যা নেই। কিন্তু বিসর্জন করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যা। তাই এবারের গণেশপুজোয় যারা পরিবেশ বান্ধব গণেশ মূর্তি বাড়িতে আনবেন তাঁরাই পেতে পারেন পুরস্কার। জানা গিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে অনেকেই আটা, ময়দা, ড্রাইফ্রুট, এমনকি মিষ্টি দিয়ে তৈরি গণেশের পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার থেকে পরিবেশ দূষণ ছড়ানোর বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। এঁদের মধ্যে ভাগ্যবান বিজেতারা পাবেন পুরস্কার। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ির অভিনব গণেশ মূর্তিটির ছবি পাঠাতে হবে ওই সংবাদ মাধ্যমকে। সেইসঙ্গে জানাতে হবে মূর্তিটি কীসের তৈরি। এরপর লটারির মাধ্যমে ঠিক হবে ২০ জন বিজয়ীর নাম। সকলে যে পুরস্কার পাবেন না তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার তাগিদে অনেকেই যে বাড়িতে পরিবেশ বান্ধব গণেশ মূর্তি আনবেন তা বোঝায় যাচ্ছে। তাতে আখেরে লাভ সকলেরই।