ঝড়ের গতিতে দৌড়তেই স্বাছন্দ্য বোধ করে জেন জি। সোশাল মিডিয়ার জগতে বিরাজমান এই জেনারেশন স্কুল কলেজের গন্ডি পেরনোর আগেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্রেফ স্বপ্নই না, নিজের কেরিয়ারের ব্যাপারেও যথেষ্ট মনোযোগী আজকের এই প্রজন্ম। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেও এই প্রজন্ম চাইছে অবসরও। কিন্তু কেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ঝড়ের গতিতে দৌড়তেই স্বাছন্দ্য বোধ করে জেন জি। ইন্টারনেটের স্পিডে একটু টান পড়লেই চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। সোশাল মিডিয়ার জগতে বিরাজমান এই জেনারেশন স্কুল কলেজের গন্ডি পেরনোর আগেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্রেফ স্বপ্নই না, নিজের কেরিয়ারের ব্যাপারেও যথেষ্ট মনোযোগী আজকের এই প্রজন্ম। কিন্তু এত ব্যস্ততার মধ্যেও এই প্রজন্ম চাইছে অবসরও। তাও কর্মজীবনের মধ্যেই। নতুন এই প্রজন্মের মধ্যে তাই ঝোঁক মাইক্রো রিটায়ারমেন্টের।
:আরও শুনুন:
বড্ড কাজের চাপ, অফিসের উপর প্রতিশোধ নিতে নয়া ‘ট্রেন্ড’, কী করছেন কর্মীরা?
কিন্তু কেন? নেপথ্যে অবশ্যই কাজের মাত্রাতিরিক্ত চাপ। যার ফলে ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হিমশিম তাঁরা। বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কাজের চাপ যথেষ্টই। কিছুদিন আগে, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের নিদান দিয়েছিলেন ইনফোসিস কর্তা। যা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে ৯০ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এলঅ্যান্ডটি কর্তা। যদিও বাস্তবে এমন কোনও নিয়মই চালু হয়েনি সংস্থাগুলোতে। তবে কাজের চাপের বহর এই সিদ্ধান্ত থেকে আভাস পাওয়া যায়। এই চাপ মাথায় নিয়েই চলতে থাকে কর্মজীবন।
সেখানে ব্যক্তিজীবন তাহলে কোথায় এসে ঠেকে? বছরের পর বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম। মাসিক বেতন থেকে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা। অবশেষে একটা বয়সে, মোটামুটি ষাটে পৌঁছে অবসর। এমনটাই মোটের উপর দস্তুর। কিন্তু এখন সেই নিয়মের বদল চাইছে জেন জি। কারণ অবসরের বয়সে এসে হাতে অফুরন্ত সময় থাকলেও, নিজের শখ পূরণ করার জন্য সেই শক্তি বা ক্ষমতা কোনোটাই থাকে না। এমনকী হাতে যথেষ্ট অর্থ থাকলেও নয়। তাই কেরিয়ারে মন দিয়েও, সাময়িক অবসর নিতেও পিছপা নয় এই প্রজন্ম।
:আরও শুনুন:
ফ্যামিলি টাইম চাই? দিতে রাজি সংস্থা, তবে কমাচ্ছে বেতন! নতুন গেরোয় কর্মীরা
সম্প্রতি এই নয়া ট্রেন্ড নিয়ে যথেষ্ট চর্চা সোশাল মিডিয়ায়। বলা হচ্ছে, এ হল ‘মাইক্রো রিটায়ারমেন্ট’। বেশ কিছু বছর কাজ করার পর টানা ছয় মাসের জন্য অবসর। আর সেই অবসরের সময় কেউ বেরিয়ে পড়ছেন ভ্রমণে। নয়তো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজের শখপূরণ। মোট কথা, কাজের দরুন যে ব্যক্তিজীবনে গুরুত্বহীন করে তুলতে হবে এই ধারণা থেকেই ক্রমশ সরে যাচ্ছে নয়া প্রজন্ম। যদিও এই ধারণাটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও কাজের মাঝে অবসর নেওয়ার কথা অনেকেই ভেবেছেন, কেউ কেউ নিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি সেই ভাবনাকে যেন নিজেদের কর্মজীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিতেই চাইছে এই প্রজন্ম। এই নয়া ট্রেন্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কি ভবিষ্যতে বদলাবে সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন? আগামী দিনে তা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।