মানসিক চাপ মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে যৌনতার। চিকিৎসকেরাও এই দাবিকে মান্যতা দেন। তরুণ প্রজন্মের অনেকেরই নিয়মিত যৌনতার অভ্যাস রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, নতুন প্রজন্মের কাছে যৌনতার থেকেও বেশি চাহিদা অন্য কিছুর। নিজেদের ঘনিষ্ট মূহুর্তের ভিডিও বানাতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তাঁরা। এমন প্রবণতার নেপথ্যে কারণ কী? আসুন শুনে নিই।
পর্ন ভিডিও সাধারণত আলাদা করে তৈরি করা হয়। কিন্তু নেটদুনিয়ায় অনেক সময় কারও ব্যক্তিগত ঘনিষ্ট মূহুর্তের ভিডিও-ও ছড়িয়ে পরতে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা কোনও প্রতারণার ফলাফল। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্বেচ্ছায় এমন ভিডিও তৈরি করেন।
আরও শুনুন: পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য কম হলেও কমবে না সঙ্গিনীর যৌন সুখ, দাবি গবেষকদের
এই তথ্য পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে সমীক্ষায় যা পরিসংখ্যান ধরা পড়েছে তা এমনটাই দাবি করছে। নেপথ্যে রয়েছে বিখ্যাত হওয়ার তাড়না। গবেষকদের দাবি, বর্তমান প্রজন্ম জীবন উপভোগ করার থেকেও কীভাবে বিখ্যাত হওয়া যায়, তার পিছনে ছুটছে। প্রত্যেকেই পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে চান। তার জন্য যে কোনও কাজেই তাঁরা রাজি। আর সেই প্রসঙ্গেই নিজেদের ঘনিষ্ট মূহুর্তের ভিডিও নেটদুনিয়ায় পোস্ট করতেও পিছপা হচ্ছেন না কেউ কেউ। মার্কিন মুলুকের বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীর উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। যার মধ্যে, ৭৪ শতাংশের দাবি তাঁদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য বিখ্যাত হওয়া। যে কোনও মূল্যেই পরিচিত হতে চাইছেন তাঁরা। তবে প্রায় ১৪ শতাংশের দাবি, পরিচিত হওয়ার জন্য নিজেদের সঙ্গমের ভিডিও পোস্ট করতেও আপত্তি নেই তাঁদের। তাঁদের মধ্যে অনেকে বাস্তবেও এমনটা করেছেন বলে মনে করছেন গবেষকরা। শুধু তাই নয়, বিখ্যাত হওয়ার স্বার্থে আরও অনেক কিছুই করতে রাজি তরুণ প্রজন্ম। প্রতি সাতজনের মধ্যে একজন বিখ্যাত হওয়ার জন্য সেলেব্রিটিদের সঙ্গে প্রেম করার ইচ্ছা রাখেন। সেই প্রেম যদি বিয়ে অবধিও এগোয় তাতেও বিশেষ আপত্তি নেই তাঁদের। সেই বিখ্যাত মানুষটির দৌলতে কিছুটা হলেও সাধারণ মানুষের মনযোগ পাবেন তাঁরা। আর এতেই তাঁরা তৃপ্ত। অন্যদিকে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন তরুণ বা তরুণী বিখ্যাত হওয়ার জন্য টিভি রিয়েলিটি শো-কে বেছে নিয়েছেন। স্রেফ পনেরো মিনিটের জন্যও যদি টিভিতে দেখানো হয় তাহলেই খুশি হবেন তাঁরা।
আরও শুনুন: ভিডিও দেখে সঙ্গম অনুশীলন করেন অভিনেত্রীরাও! সত্যিই কি পর্ন দেখা খারাপ?
তবে সমীক্ষার ফলাফল যে এমন হবে তা একেবারেই আশা করেননি গবেষকরাও। তাঁদের লক্ষ্য ছিল বর্তমান প্রজন্মের মানসিক অবস্থানের দিকটা ভালোভাবে নিরীক্ষণ করা। এই উদ্দেশ্য নিয়েই এমন সমীক্ষা করেছিলেন তাঁরা। সেখানে এইভাবে বিখ্যাত হওয়ার প্রবণতা প্রাধান্য পাবে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। কিন্তু পরিসংখ্যানকে ভুল ভাবার কোনও অবকাশ নেই। আগামী প্রজন্মের এই প্রবণতা সমাজিক কোনও বিপদ না ডেকে আনে, সেই আশঙ্কাই করেছেন ওয়াকিবহাল মহলের সকলে।