পৃথিবীর উপর নেমে আসতে পারে ভিনগ্রহীদের আক্রমণ। এমনটাই জানাল নয়া গবেষণা। কোনও একটি ভিনগ্রহী হামলা নয়, চার-চারটি ক্ষতিকর ভিনগ্রহী সভ্যতা আক্রমণ শানাতে পারে মানবসভ্যতার উপরে, মনে করছে গবেষণাপত্রটি। এ বিষয়ে ঠিক কী বক্তব্য গবেষকদের? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দেখা গিয়েছে ইউএফও বা আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট, মাঝে মাঝেই এমন দাবিতে সরব হন পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তের মানুষ। এইসব উড়ন্ত চাকতি আসলে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান ছাড়া আর কিছু নয়, শোনা যায় এমন কথাও। যদিও পৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনোরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভিনগ্রহে কোনও প্রাণী থাক বা না থাক, একাধিক সাহিত্য-সিনেমায় বারবার দেখা মিলেছে ভিনগ্রহীদের। মানুষের জন্য চূড়ান্ত ক্ষতিকর বলেই তাদের দেখানো হত একসময়। কিন্তু সেই ধারণাকে ভেঙেচুরে দিয়েছিল স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘ইটি’। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ভিনগ্রহের প্রাণী মাত্রেই মানুষের শত্রু হবেই এমন কোনও কথা নেই। বরং মানুষের দিকে রীতিমতো বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে তারা। পরবর্তী কালে বলিউডে হৃতিক রোশন অভিনীত ‘কোই মিল গয়া’ সিনেমাটির কথাও নিশ্চয়ই মনে পড়ছে এই সূত্রেই। ভিনগ্রহীদের দেখা না পাই, এই সব ছবির দৌলতে ভিনগ্রহীদের বন্ধু বলেই ভাবতে শিখেছিলাম আমরা। কিন্তু এবার সেই ধারণাকেই বদলে দিল একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্র। যেখানে গবেষক দাবি করেছেন, পৃথিবী যে ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির অন্তর্গত, সেই আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই বাস করছে আরও অন্তত চার প্রজাতির প্রাণী। আর সেই প্রতিটি প্রজাতিই নাকি অত্যন্ত ক্ষতিকারক, এমনটাই দাবি ওই গবেষকের। এমনকি যে কোনও সময় পৃথিবীর উপরে তারা আক্রমণ শানাতে পারে, এহেন আশঙ্কাও করছেন ওই গবেষক।
আরও শুনুন: রাম সেতুর অস্তিত্ব কি সত্যি আছে? তথ্য আর যুক্তি কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে?
নিজের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে ভিনগ্রহী সম্পর্কে কার্যত পৃথিবীর মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছেন স্পেনের ভিগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য গবেষণারত ছাত্র, আলবের্তো ক্যাবালেরো। যদিও এই গবেষণাপত্রটি এখনও বিশেষজ্ঞ কমিটির অনুমোদন পায়নি। তবে এর আগেও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’-তেও ভিনগ্রহীদের নিয়েই একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর। তবে ভিনগ্রহীদের ক্ষতিকর বলে দাবি করলেও ওই গবেষকের ব্যক্তিগত মত, কোনও ভিনগ্রহী সভ্যতার আক্রমণে নয়, বরং গ্রহাণুপুঞ্জের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণেই পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর ভিনগ্রহী গবেষণায় কোনও সত্যতা রয়েছে কি না, নাকি তা কেবলই অচেনা অস্তিত্বের প্রতি ভয় ও সংশয় থেকে উঠে আসা, আপাতত তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।