মডেলিং-এর পেশায় নিজের রূপ যৌবন শরীরকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলাই ছিল কাজ। সে পেশা ছেড়ে কৃষ্ণপ্রেমেই মন সঁপেছেন এই মডেল। তবু পুরুষের নজর আটকে তাঁর শরীরেই!
মডেলিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তরুণী। সুতরাং শরীরের যত্ন নেওয়া আর শরীরকে সাজিয়ে রাখাও ছিল সহজাত। সেসময়ে মডেল হিসেবেই সকলের নজর কাড়তেন তিনি। তবে সেই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন বর্তমানে। কৃষ্ণপ্রেমে ডুবে নিজের পেশা তো বটেই, এমনকি দেশও ছেড়েছেন। সবকিছু ছেড়েছুড়ে ভারতে এসে বাসা বেঁধেছেন এই রুশ মডেল। তবুও এ দেশের পুরুষদের নজর তাঁর শরীরেই আটকে যায়, বিরক্তির সঙ্গে জানাচ্ছেন এই তরুণী।
কৃষ্ণপ্রেমে পোড়া দেহ, কী দিয়া জুড়াই বলো সখি… নিজেকে কৃষ্ণপ্রিয়া মনে করেই এ কথা বলেন ভক্তরা। ভগবতপ্রেমের কাছে ব্যক্তিগত শরীর আর শারীরিকতাকে তুচ্ছ করেন তাঁরা। এই তরুণীও নিজেকে বদলে নিয়েছেন সেভাবেই। সোফিয়া নামের এই রুশ তরুণী সীমা দেবীদাসী নাম নিয়েছেন এখন। রাশিয়া ছেড়ে বৃন্দাবনে এসে থাকতে শুরু করেছেন পাকাপাকিভাবে। তিনি জানান, ১৩-১৪ বছর বয়স থেকেই ভগবতগীতা পড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই হিন্দু সংস্কৃতি, কৃষ্ণপ্রেম, সবকিছু নিয়ে তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল। ২০১৪ সালে ওড়িশি নাচ শিখতে ভারতে আসার পর সেই আগ্রহ অনেকখানি বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এ দেশেই পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন।
২০২২ সাল থেকে বৃন্দাবনে রয়েছেন এই রুশ তরুণী। এখানকার সাদাসিধে জীবনযাপনেই মন বসেছে তাঁর। শুধু একটি বিষয়েই বিরক্তি রয়েছে, তা হল ভারতীয় পুরুষদের একাংশের নারীর প্রতি চাহনি। অনেকের তাকিয়ে থাকার ধরনই তাঁকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে। একবার হিমাচলপ্রদেশে এক যুবক তাঁকে অনুসরণ করছিল বলেও জানিয়েছেন তরুণী। সে সম্ভবত ভিডিও কল করে তাঁকে দেখানোর চেষ্টা করছিল অন্য এক বা একাধিক জনকে। মেমসাহেব শাড়ি পরেছেন, এই বিষয়টিতেও সে বিস্ময় প্রকাশ করছিল। তবে শেষমেশ তাকে বিদায় করতে পেরেছিলেন তরুণী। কিন্তু কৃষ্ণভক্তিতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার পরেও যে তাঁকে এইভাবে পুরুষের লোভী চোখের মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে, তা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই রুশ তরুণী।