চাইলেই ফেরা যাবে স্কুলজীবনে। বদলে দিতে হবে কিছু টাকা। তাই সই! একদিনের জন্য শৈশবে ফিরে যেতে লাইন দিচ্ছেন অনেকেই। কোন স্কুলে চালু হল এমন সুযোগ? আবেদন করতে অবে কীভাবে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
‘বন্ধু চল, বলটা দে…’, বড়বেলাতেও এই ডাক কানে আসতেই পারে। কিন্তু শৈশবে ফেরা হবে কি? উত্তরটা বোধহয় না। হাজার হাজার টাকা খরচ করলেও না। এমনটাই স্বাভাবিক, ফেলে আসা জীবনে কীভাবে ফেরা সম্ভব! তবে একেবারে সম্ভব নয় এমনটা বলা ভুল। সম্প্রতি এমনই এক সুযোগ সামনে এনেছেন এই স্কুল।
এখানে চাইলেই ক্লাস করতে পারবেন বড়রা। শুধু ক্লাস নয়, গোটা একটা দিন স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন যে কেউ। বদলে দিতে হবে কিছু টাকা। ভারতীয় মুদ্রার বিচারে ১৭ হাজার টাকা খরচ হবে একদিন স্কুলবেলায় ফেরার জন্য। যে কোনও জামা পরে যাওয়া যাবে না, নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরেই ঢুকতে হবে স্কুলে। ক্লাসে বসে কাজও করতে হব। অবশ্য না করলে শাস্তির বালাই নেই। তবে এমন পরিস্থিতি তৈরিই হয় না, কারণ যারা পয়সা খরচ করে স্কুলজীবনে ফিরে আসেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ক্লাস করবেন এটাই স্বাভাবিক। অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে জুড়ে যায় স্কুলের নিয়মিত পড়ুয়ারাও। বিভিন্ন বয়সের খুদেরা নিজেদের মতো করে তাঁদের সঙ্গে সময় কাটায়। যেহেতু এই বড়রা ইউনিফর্ম পরেই স্কুলে রয়েছেন, তাই তাঁদের খুব একটা আলাদা চোখে দেখতে চায় না অনেকে। নিজেদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে দুষ্টুমি করে চলে। সেসব অবশ্য উপভোগ করেন বড়রাও। সবমিলিয়ে হৈ হৈ করেই স্কুলজীবনের একটা দিন উপভোগ করেন তাঁরা।
কিন্তু কোথায় মিলছে এমন সুযোগ?
এদেশে নয়, এই সুযোগ দিচ্ছে জাপানের এক সংস্থা। তাঁদের মূল লক্ষ জাপানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা। এঁদেরই স্কুলজীবনের অভিজ্ঞতা করাতে চায় ওই সংস্থা। নির্দিষ্ট কিছু স্কুলের সঙ্গে মিলে ব্যবস্থা করা হয়। কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিশেষ শর্তেই রাজি হয়। একদিনে সর্বাধিক ৩০ জন বড় মানুষ ছোটদের দলে ভিড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সবার আগে বুঝে নেওয়া হয়, পর্যটকরা আদৌ বিষয়টা সম্পর্কে জানেন কি না! কারন, না বুঝে স্কুলে গিয়ে যদি বিরক্ত হন কেউ, তাহলে সবার সমস্যা। কাজ বলতে, ক্যালিগ্রাফি শেখানো হয় মূলত। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাসও করানো হয়। এখানেই এক বেঞ্চে বসেন খুদে আর বড়রা। তবে স্রেফ ক্লাস করে ফিরে এলে চলবে না। পরিষ্কার করতে হবে ক্লাসঘর। এমনিতেই জাপানে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। স্কুলের পড়ুয়াদেরও ছোট থেকেই সেই অভ্যাস করানো হয়। তাই শখের বসে যারা স্কুল জীবনে ফিরতে চান, তাঁদেরও সেই অভ্যাসের অংশ হতেই হয়।