গত সাত বছরে একদিনও কর্মক্ষেত্রে দেরি হয়নি। তবে সেই নিয়মে চুক হয়েছিল একদিনই। আর সেই দিনটাই শনি হয়ে নেমে এল তাঁর জীবনে। দেরির কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন ব্যক্তি। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন সহকর্মীরা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিলেন বড়সড় সিদ্ধান্ত। ঠিক কী করলেন তাঁরা? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
সব অফিসেরই কিছু না কিছু নিয়মকানুন থাকে। ঢোকা-বেরোনোরও থাকে নির্দিষ্ট সময়। গত সাত বছরে সেই নিয়ম একবারের জন্যও ভাঙেননি তিনি। নিয়ম করে রোজ সকালে ঠিক নটা পাঁচ নাগাদ অফিসে ঢুকতেন ওই কর্মী। কাজকর্ম সেরে বেরোতেন পাঁচটার পরে। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি কখনও। নিয়মানুবর্তিতার জন্য অফিসে বেশ নামডাকও ছিল তাঁর।
আরও শুনুন: স্যানিটারি ন্যাপকিনের উপর কৃষ্ণের ছবি, বিতর্কের মুখে ‘মাসুম সওয়াল’ ছবির পোস্টার
তবে সম্প্রতি সেই নিয়মে ছেদ পড়ে। গাড়ি চালিয়েই রোজ অফিসে আসতেন ফ্লোরিডার ওই ব্যক্তি। তবে সেদিন অস্বাভাবিক ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। এমনকি সেই ভয়াবহ যানজট নিয়ে খবরও হয়েছিল সেদিন। যানজটে আটকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার ফোনও করেছিলেন তিনি। তাতেও লাভ হয়নি। সব মিলিয়ে মাত্র ২০ মিনিট দেরিতেই সেদিন অফিসে ঢুকেছিলেন ওই কর্মী। আর সেটাই তাঁর জীবনে কাল হল।
আরও শুনুন: ছাঁটাইয়ের বদলা, বুলডোজার এনে সংস্থার বিলাসবহুল সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দিলেন কর্মী
দেরি করে অফিসে আসার অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় ওই কর্মীকে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সময়ানুবর্তীতা মেনে চললেও ওই একদিনের ভুলেই তার ঘাড়ে নেমে আসে ছাঁটাইয়ের কোপ। তবে এই ঘটনায় রাগে ফুঁসে উঠেছেন তাঁর সহকর্মীরা। সংস্থার এই অমানবিকতার শোধ তুলতে কড়া আন্দোলনে পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বহিষ্কৃত ওই ব্যক্তিকে চাকরিতে ফিরিয়ে না-নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ অফিসের সময় মেনে চলবেন না, এমনটাই দাবি জানানো হয়েছে কর্মীদের তরফে। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত বদল না করা পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। বিপদের দিনে সহকর্মীদের এমন ভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত ওই কর্মী। সম্প্রতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজের এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক সিদ্ধান্তের নিন্দা করতে ছাড়েননি নেটিজেনরাও।