বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় শীর্ষে তাঁর নাম। অথচ সেই ইলন মাস্কের মাকে নাকি ঘুমোতে হয় গ্যারেজে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো! কিন্তু সম্প্রতি এমন অবিশ্বাস্য তথ্যই জানিয়েছেন খোদ মায়ে মাস্ক। কী বলেছেন তিনি?
প্রায়শই বলিউড তারকাদের জীবনযুদ্ধের কথা আমরা শুনি। তারকা হওয়ার আগে স্টেশনে কিংবা কারওর গ্যারেজে রাত কাটানোর গল্প প্রায়শই শোনা যায়। তাই বলে ধনকুবের ইলন মাস্কের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা! এ যেন অবিশ্বাস্য। তবে সম্প্রতি এমন কথাই জানিয়েছেন ধনকুবেরের মা। সম্প্রতি মায়ে মাস্ক জানিয়েছেন, ছেলের কাছে এলে তাঁকে নাকি প্রায়ই গ্যারেজে শুতে হয়। যা শুনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় নেটিজেনদের। যার পক্ষে গোটা পৃথিবীটা কিনে ফেলাও আশ্চর্যের নয়, তার মায়ের কিনা এমন দশা! মায়ে এ-ও জানান, এসব ব্যাপারে নাকি বেশ উদাসীন তাঁর ছেলে ইলন।
আরও শুনুন: তিন মাস অন্তর কিনতে হবে নতুন পোশাক, চাকরির শর্ত মানতে নাজেহাল কর্মীরা
আশি-নব্বই দশকের গ্যাদগ্যাদের বাংলা-হিন্দি সিনেমার প্লটের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়ে যাঁরা ভ্রূকুঞ্চিত করছেন, তাঁদের বলে রাখা ভাল, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমনটা নয় পুরোপুরি। আসলে ইলন মাস্কের বর্তমান ঠিকানা এখন আমেরিকার টেক্সাস শহর। সেখানেই তাঁর সাধের স্পেস স্টেশনে থাকছেন এই ধনকুবের। বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র আবিষ্কার করে ইতিমধ্যেই টেক দুনিয়ায় নিজেকে ‘জায়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মাস্ক। মহাকাশ জগতেও অবাধ তাঁর বিচরণ। স্যাটেলাইট পাঠানো থেকে আরম্ভ করে মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের অভিযানের সাক্ষী থেকেছে ইলন মাস্কের এই স্পেস স্টেশন। হাজার রকম যন্ত্রপাতিতে ঘেরা সেই গবেষনাগারে বাকি সব কিছু থাকলেও আলাদা করে শোয়ার ঘর নেই একটাও। এদিকে ইলন বছরের বেশির ভাগ সময়টাই থাকেন নিজের স্পেস স্টেশনেই। ফলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এলে বা স্পেস স্টেশন ঘুরতে এলে ওই গ্যারেজে ঘুমোনো ছাড়া আর কোনও গতি নেই মায়ে-র।
আরও শুনুন: পরিচয়পত্রেই মিরাকল! আধার সেন্টারই খুঁজে দিল পরিবারের হারানো সদস্যদের
শুধু নিজের কাজকর্মের জন্যই নয়, প্রায়শই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যও খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায় বিশ্ববিখ্যাত এই ধনকুবেরকে। ইলন নিজেই একবার বলেছিলেন, তাঁর নাকি কোনও বাড়ি নেই। বন্ধুদের বাড়িতেই রাত কাটাতে হয় তাঁকে। এমন মন্তব্যের জেরে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ব্যক্তিগত সমস্ত সম্পত্তিকেই অর্থে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন মাস্ক। অর্থাৎ সে সবই নাকি বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন সত্যিই পৃথিবীর বুকে তাঁর আর নিজস্ব কোনও বাড়িঘর নেই। কারণ তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য নাকি মঙ্গলগ্রহে গিয়ে বাসা বাঁধা। এবার তার সেই তালে তাল মিলিয়েছেন তাঁর মা মায়েও। সেই মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরবাড়ি সমস্ত বিক্রি করে ওই স্পেস সেন্টারেই থাকতে শুরু করেছেন তাঁরা। তাই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসে গ্যারেজে ঘুমোতেও কোনও সমস্যা নেই তাঁর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ইলনের মায়ের সেই বক্তব্য। যা শুনে বিস্ময় ধরে রাখতে পারেনি নেটিজেনরা। শুরু হয়েছে বিস্তর হইচইও।