শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ। হাতে আর সময় নেই বেশিদিন। তাই আগেভাগেই নিজের শেষকৃত্য সারার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। তবে কোনও শোকসভা নয়, বরং একটি বড়সড় পার্টির আয়োজন করে রেখেছিলেন তিনি। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
মুহূর্তে বাঁচতেই ভালবাসেন ৭৬ বছরের এই মহিলা। তাই মারণরোগে আক্রান্ত হয়েও জীবনের প্রতি ভালবাসা হারাতে নারাজ তিনি। বরং যেটুকু সময় আর হাতে আছে তাঁর, সেই সময়টাকেই পুরোপুরি উপভোগ করতে চান এই মহিলা। তাই নিজের শেষকৃত্যের আগাম পরিকল্পনাও সেরে ফেলেছেন তিনি। তবে কোনোরকম শোকসভা নয়, বরং উদ্দাম পার্টির আয়োজন করেই নিজের শেষ কাজ আগেভাগে সেরেছেন ওই মহিলা।
আরও শুনুন: সাজের জেরেই সাজা! বিয়ের মেকআপে মুখ পুড়ল তরুণীর, ভাঙল বিয়েই
সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, সত্তরোর্ধ্ব ওই মহিলা ব্রিটেনের হাই উইকম্ব অঞ্চলের বাসিন্দা। নাম লিন্ডা উইলিয়ামস। ক্যানসারে আক্রান্ত এই মহিলা ভাল করেই জানেন যে তাঁর এই মারণ রোগ সারবে না। বরং দীর্ঘদিন ধরে চলা চিকিৎসা তাঁকে খানিক ক্লান্তই করে তুলেছে। তাই এইরকম করে কোনওভাবে টিকে থাকার পথে আর হাঁটতে চাননি তিনি। বরং এই সময়ে যাতে তিনি নিজে এবং তাঁর কাছের মানুষেরা ভাল থাকতে পারেন, সেইদিকেই নজর দিয়েছেন এই মহিলা। আসলে এক বছর আগে ক্যানসার ধরা পড়ার পরেই নিজের ইচ্ছাপূরণের একটি তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছিলেন তিনি। জীবনের শেষ কয়েকটা দিন সবরকম ভাবে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। আর সেইমতোই তিনি চেয়েছিলেন, নিজের শেষকৃত্যের আয়োজন করবেন তিনি নিজেই। কারণ নিয়মমাফিক অন্ত্যেষ্টি তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। প্রিয়জনের মরদেহকে কবর দেওয়া, আর সেই সমাধির সামনে সকলের কান্নাকাটি, এই পরিবেশে অস্বস্তি হত তাঁর। আর তাই তিনি এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন যেখানে সকলের মুখেই থাকবে হাসি। সেই কারণেই এই পার্টির আয়োজন করেন ওই মহিলা। এমনকি এমনভাবেই তিনি এই পার্টির যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সেরে রেখেছিলেন, যাতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি নিজে যদি সেখানে উপস্থিত হতে নাও পারেন, এমনকি পার্টির আগেই তাঁর মৃত্যু হয়, তাও বাকিরা যেন সেই পার্টিতে যোগ দেন।
আরও শুনুন: প্রাক্তন প্রেমিকার নামেই সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখতে চান ব্যক্তি, চটে লাল স্ত্রী
১৯৪০ সালের মতো করে সাজানো হয়েছিল এই থিম পার্টিকে। পার্টির আগেই তাঁর মৃত্যু হলে সেখানে রাখার জন্য নিজের একটি কাট-আউটও তৈরি করিয়েছিলেন এই মহিলা। শেষমেশ অবশ্য তার প্রয়োজন পড়েনি। সশরীরেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই সন্ধ্যার আনন্দ তাঁর বাকি দিনগুলোতেও রসদ জোগাবে বলেই মনে করেন লিন্ডা উইলিয়ামস।