হাতকড়া পরানো আছে। তবু অবিশ্বাস্য গতিতে সাঁতার কাটছেন এক যুবক। আর এভাবেই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছেন তিনি। কী ভাবছেন, কোনও অপরাধীর কথা বলছি? যিনি পালানোর জন্য হাতকড়া পরেই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন! একেবারেই তা নয়। তাহলে, কে করেছে এমন অদ্ভুত কাজ? আসুন শুনে নিই।
হাতকড়া পরেই সাঁতার কাটছেন এক যুবক। স্রেফ পায়ের জোরেই তিনি ৬ ঘন্টায় ৭ মাইল জলপথে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। যার জেরে বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নামও উঠেছে তাঁর। তবে ওই হাতকড়া, কোনও অপরাধের জন্য পরানো হয়নি। আসলে, পায়ের ব্যবহার করেই সাঁতার কাটার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি। তাই হাত বাঁধার জন্য ওমন ব্যবস্থা করা হয়। আর সেভাবেই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: প্রিয় ক্যাপ্টেন, তুমি ক্যাপ্টেন হয়েই থেকো! ধোনিকে দেখে বদলে গেল পাইলটের ঘোষণা
কথা বলছি, সেহাব আলমের সম্পর্ক। বছর ২৬-এর এই মিশরীয় সাঁতারু বরাবরই নতুন কিছু করার কথা ভাবতেন। সেখান থেকেই এই অদ্ভুত চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় আসে তাঁর। সাধারণত সাঁতার কাটতে হাত ও পা দুইয়েরই ব্যবহার সমান জরুরি। কিন্তু সেহাব ঠিক করেছিলেন শুধুমাত্র পায়ের জোরেই সাঁতার কাটবেন। এভাবে ঠিক কতটা দ্রুত সাঁতার কাটা সম্ভব তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন দুই হাত বেঁধে সাঁতার কাটার অভ্যাস করেছেন। তবে এক্ষেত্রে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিও নেহাত কম নয়। তাই অভ্যাসের সময় খুবই কম গভীরতার জলে নামতেন তিনি। একইসঙ্গে কোনোভাবেই যেন মনসংযোগে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য একেবারে নির্জন জায়গায় সাঁতার কাটতে যেতেন তিনি। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এরপর একদিন সমুদ্রে সাঁতার কাটার পরিকল্পনা করেন তিনি। তবে দুই হাত বাঁধা অবস্থায়। সফলও হন। এভাবেই বেশ কিছুদিন অভ্যাসের পর ঠিক করেন লম্বা পথ পাড়ি দেবেন। তিনি যে অভিনব কিছু করতে চলেছেন সে কথাই ভালো মতোই জানতেন। তাই নিজের উদ্দেশ্যের কথা বিশ্বরেকর্ডের দপ্তরে জানান। সেইমতো সকলের উপস্থিতিতে সমুদ্রে নামেন তিনি।
আরও শুনুন: স্তনযুগল আর বাধা নয়! অন্তর্বাস তো নয়ই, ঊর্ধাঙ্গের পোশাক ছাড়াও স্বচ্ছন্দে প্রকাশ্যে তরুণী
আরব সাগরের গালফ অংশে ব্যবস্থা করা হয়। তাঁকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ঠিক করা হয় নির্দিষ্ট প্রতিনিধি দল। শর্ত ছিল কোনও ভাবেই হাত ব্যবহার করবেন না সেহাব। সেই কারণে জলে নামার আগে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। অথচ সকলকে অবাক করে দিয়ে ওই অবস্থাতেই অনায়াসে সাঁতার কাটতে শুরু করেন তিনি। প্রায় ৬ ঘণ্টা একইভাবে সাঁতার কাটেন তিনি। এভাবেই পার করে ফেলেন ৭ মাইল পথ। বলা বাহুল্য হাত বেঁধে সাঁতার কাটার এমন নজির এর আগে ছিল না। তাই সেহাবের এই কৃতিত্ব অনায়াসে নাম তুলে নেয় বিশ্বরেকর্ডের খাতায়। দীর্ঘ অভ্যাসের পর এমন সাফল্য আসায় বেজায় খুশি সেহাব। তাঁর মতে ভবিষ্যতেও এই কাণ্ডের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তিনি।