চড়চড়িয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎবিলের পারদ। আর তার খেসারত দিতে গিয়ে নাজেহাল মধ্যবিত্ত। অথচ এমন এক বাড়ি আছে, যেখানে নাকি এসব কিছুই কেনার প্রশ্ন নেই। তবু দিব্যি থাকা যায়। ভাবছেন তো, কীভাবে সম্ভব? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সারাদিনের কাজ-কর্ম, রান্না-বান্না, ধোয়ামোছা- সবটুকু করছেন যন্ত্রের সাহায্যে। এক নাগাড়ে বাড়ির সমস্ত কাজ করার জন্য ব্যবহার করছেন ওয়াশিং মেশিন বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি। লাগাতার ব্যবহার করছেন টিভি, মাইক্রোওভেন, এসি ইত্যাদি। চোখের পলকে শেষ হয়ে যাচ্ছে বাড়ির যাবতীয় কাজ। মাস শেষে এল বিদ্যুতের বিল। কী ভাবছেন? এইবার আপনার মাথায় হাত দিয়ে বসার সময় হল? আরে না না! বিদ্যুতের বিল এল একেবারে শূন্য। এক বর্ণও অবাস্তব নয়, কারণ এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন বেঙ্গালুরুর দম্পতি।
আরও শুনুন: বাড়িতে ১২ জন, অথচ ইলেকট্রিক বিল ১২ টাকা, কীভাবে কমল খরচ?
ঠিকই শুনেছেন। এক্কেবারে তাক লাগিয়ে ফেলেছেন বেঙ্গালুরুর রঞ্জন মালিক এবং তাঁর স্ত্রী রেভা মালিক। তাঁদের ৭৭০ বর্গফুটের বাড়িটি তাঁরা তৈরি করেছেন কাদা, পোড়ামাটি আর রিসাইকেল করা বর্জ্য দিয়ে। শুধু তাই নয়, সেটিকে সাজিয়ছেন দক্ষ এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই। এই প্রযুক্তি অনুসারে তাঁদের ছাদটি র্যামড আর্থ এবং ম্যাঙ্গালোরিয়ান টাইলস দিয়ে তৈরি। ৩০-ডিগ্রি কোণে ঢালু করে রাখা। যার জন্য এই ছাদটি বৃষ্টির জল ধরে রাখতে পারে আর প্রখর গরমে খুব সহজেই এসির প্রয়োজন মেটায়। এই বাড়িটিতে রয়েছে লাগোয়া একখানা বাগান। এবং সেখানে ৪০ রকমের শাকসবজি, ফলমূল উৎপাদন করা হয়। আর সবশেষে রয়েছে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিজাইন করা একটি সৌর-চালিত প্যানেল। যার জন্য এক নিমিষে শূন্য হয়ে গেছে বিদ্যুৎ বিলের খরচ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার এই দম্পতির কথা ছড়িয়ে পড়েছে। নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এমন বিস্ময়কর ঘটনা যদি ঘটে, তাতে যে সকলের সুরাহা হবে তাতে কোনও সন্দেহ নাই। প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য পাতিয়ে থাকলে মানুষের লাভ বই ক্ষতি নেই। এই দম্পতি সেই কথাটাই যেন আবার মনে করিয়ে দিলেন।