ফুরোনোর পথে পুরনো বছর। নতুনের আগমনে দিন গুনছে সবাই। কিন্তু মুশকিল হল সুন্দর স্মৃতি, মুহূর্ত এখন আর কিছুই মনে থাকছে না। হাজার চেষ্টা করলেও না। এই সমস্যা কোনও একজনের নয়, অনেকের। কোন উপায় মানলে মনে থাকবে সবকিছু?
ফুরোনোর পথে পুরনো বছর। নতুনের আগমনে দিন গুনছে সবাই। কিন্তু যা চলে যাচ্ছে তা কী একেবারেই চলে যাচ্ছে? নিশ্চয়ই না! বরং রেখে যাচ্ছে ব্যাগভরা স্মৃতি, মুহূর্ত, আরও কত কী! মুশকিল হল, সেসব মনে থাকছে না। হাজার চেষ্টা করলেও না। এই সমস্যা কোনও একজনের নয়, বরং সর্বজনীন। তবে উপায় আছে। মানতে হবে সহজ কিছু নিয়ম।
ভুলে যাওয়ার রোগ কমবেশি সকলের রয়েছে। চশমা, ঘড়ি বাড়ির চাবি, ভুলে যাওয়ার তালিকায় এরা উপর মহলের বাসিন্দা। প্রয়োজনের সময় হাজার খুঁজলেও মিলবে না। এদিকে যখন দরকার ফুরোবে, তখন হঠাৎ মনে পড়বে চশমা আছে মাথার উপর কিংবা চাবি জামার পকেটে! সবথেকে সমস্যা হল স্মৃতি ভুলে যাওয়া। অবশ্যই সুখের কথা, যা ভুলে গেলে বড় আফসোস হয়। নিজের তো বটেই, সেইসঙ্গে যাকে ঘিরে সেই ভালোলাগার বেড়ে ওঠা, তারও বেজায় খারাপ লাগে। প্রিয়জনের জন্মদিন ভুলে যাওয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন উদাহরণ। ছোটখাটো রোজকার স্মৃতি তো রয়েছেই। তবে উপায় আছে, মনে রাখার বেশ কিছু উপায় আছে। সেই হদিশ দিয়েছেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। সাধারণ কিন্তু সেসব মেনে চললে কাজ হতে পারে ম্যাজিকের মতো।
প্রথমেই যে অভ্যাসের কথা বলা হচ্ছে, সেই অভ্যাসের অনেকের এমনিই থাকে। ঠিক ধরেছেন, বই পড়ার কথাই বলছি। যারা নিয়মিত কিছু না কিছু পড়েন, তাঁদের স্মৃতি অনেক মজবুত। নতুন কিছু পড়লে নতুন কিছু শেখার অবকাশ থাকে। সেক্ষেত্রে মাথার কাজ হয়, এবং মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে। তাই নতুন বই পড়া সবথেকে উপযোগী। তবে স্রেফ পড়লে হবে না, বিষয়টা উপলব্ধি করতে হবে। এবং সেক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে শরীরের বিভিন্ন ইন্দ্রিয়কে। যা পড়া হল, তা প্রয়োগ করতে পারলে সবথেকে ভালো। এক্ষেত্রে একটা উদাহরনের কথা বলা যতে পারে! ধরে নেওয়া যাক, রান্নার বই থেকে নতুন কোনও রেসিপির কথা পড়েছেন। এরপর সেই বই রেখে দিলে হবে না, হাতে কলমে ওই রান্না করে দেখতে হবে। তাতে মনের আনন্দও হবে, একইসঙ্গে মস্তিষ্কের ব্যায়ামও হবে। কিংবা কিছু পড়ে সেটা নিয়ে অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করা, এক্ষেত্রেও লাভ হতেই পারে। মনের মধ্যে পজিটিভ ভাবনা রাখতে হবে। নিজেকে বারবার বলতে হবে, চাইলেই এমনটা করা সম্ভব। কিছু ভুলে গেলে সেই নিয়ে ভাবতে বসলে চলবে না। বরং নতুন করে বিষয়টা নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। একবার এই অভ্যাস করে ফেললে, ছোটখাটো ভুল অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে দরকারি কাজ কবে কখন করতে হবে সেই হিসাবে ভুল করেন। এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে আগেভাগে তৈরি করে নেওয়া রুটিন। কোনদিন কী করতে হবে, আগেই ছকে রাখতে হবে, এবং বারবার সেটাকে দেখতে হবে। যাতে সঠিক সময় সঠিক কাজের কথা মনে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বারবার একই কথা বা কাজ মনে করতে থাকলে একটা সময় পর তা মাথার মধ্যে গেঁথে যায়। ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তবে এসবের কিছুই কাজে না এলে, নিজের মতো করে একটা উপায় বেছে নিতে হবে। কখনও ছড়ার আদলে, কখনও গানের কথার সঙ্গে মিল খুঁজে মনে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা কথা। ব্যক্তিবিশেষে এই অভ্যাস আলাদা হবে। তবে মনে রাখার সবথেকে সহজ উপায় এটাকে মানা যেতেই পারে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মনে রাখার এই সহজপাঠ অনেকের কাছে বেশ উপযোগী অনে হয়েছে। সুতরাং ভুলে যাওয়ার রোগ থেকে বাঁচতে এই পথে ভেবে দেখা যেতেই পারে।